ত্যাগের মন্ত্রে দীক্ষিত ‘‌ভালবাসা’, করোনা ভাইরাস আটকাতে পারলনা জিয়াকি ও পিন্টুর বিয়ে

0
360

দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: ত্যাগের মন্ত্রে দীক্ষিত ‘‌ভালবাসা’,‌ সে মাথা নত করে না কোনও শক্তির কাছে। ‘‌করোনা’‌ ভাইরাসও পারল না বিনা সুতোয় গাঁথা সেই বন্ধনকে ভেঙে ফেলতে। এমনই প্রেমের টান। সব বাধা পেরিয়ে অবশেষে মহীরুহে পরিণত হল মনের গভীরে থাকা শাশ্বত প্রেম।


অগ্নিসাক্ষী রেখে, সাত পাক ঘুরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন চীনের গুয়াংজির তরুণী জিয়াকি এবং কাঁথির পারুলিয়া গ্রামের যুবক পিন্টু মাইতি। করোনা ত্রাসে এখন রুদ্ধ ভারত ও চীনের দরজা। কয়েকদিন আগে বাঙালি প্রেমিককে বিয়ে করতে চীন থেকে ছুটে আসেন জিয়াকি। এই আসা যেন একটু অন্য রকমের। ভৌগোলিক অবস্থান, আত্মীয়–পরিজন, বন্ধু–বান্ধব, ভাষার দূরত্ব সব কিছু পিছনে ফেলে প্রেমিক পিন্টুর সঙ্গে বুধবার সারা জীবনের জন্য বাঁধা পড়লেন তিনি।

করোনার দাপটে এ বিয়ের সাক্ষী হতে পারেননি জিয়াকির পরিবার ও পরিজনেরা। তবে নিজেরা সুস্থ আছেন খবর পাঠিয়ে, জিয়াকিকে বিয়ের পিঁড়িতে বসার সম্মতি দেন তাঁরা। বিয়ের পর নবদম্পতিকে শুভেচ্ছাও জানান তাঁরা। বাবা–মাকে কাছে না পেয়ে বিচ্ছেদ বেদনা ছিল জিয়াকির মনে। যদিও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের আন্তরিকতায় সেই বেদনা মিলিয়ে যায় জিয়াকির মন থেকে।

তিনি চীনা পোশাক বদলে লাল বেনারসি, চেলি, কপালে চন্দন ও মাথায় টিপ পরে বাঙালি সাজে সেজেছিলেন। ছাঁদনাতলায় মালাবদল সারতে সারতে ঠোঁটেতে তাঁর হাসির ঝিলিক।

বাংলাতে জিয়াকি বলে ওঠেন, ‘এভাবে বিয়ে করতে পেরে খুব ভাল লাগছে।’‌ তবে আইনি বিয়ে মেটাতে চীনে যেতে হবে জিয়াকি ও পিন্টুকে। জিয়াকি বলেন, ‘‌আমার পরিবার এই বিয়েতে খুবই খুশি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তাঁরা আমার বিয়েতে আসতে পারেননি। চীনে ফিরেই রেজিস্ট্রি করে বিয়ের পর্ব সম্পূর্ণ করব। তবে কবে ফিরতে পারব জানি না।’‌

Previous articleরাশিফল: কেমন যাবে আজ জানুন
Next articleকরোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩৬, চিনা সংস্থা রিপোর্টে বলছে সংখ্যাটা ২৫ হাজার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here