দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের সংঘাতে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল লেকটাউনে। বিজেপি নেতা তথা সল্টলেকের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তের অভিযোগ, দলীয় কর্মীর বাড়িতে দেখা করতে গেলে তাঁকে এবং অন্য বিজেপি কর্মীদের বাধা দেয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ধাক্কাধাক্কিও করা হয় রাজারহাটের বিধায়ককে। এরপর লেকটাউন থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সব্যসাচী।
রাজ্য বিজেপিতে সদ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া সব্যসাচী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “লেকটাউনের বিজেপি নেতা ধ্রুবনীলের বাড়িতে গত কয়েকদিন ধরেই নানা ভাবে হামলা চলছে। কখনও বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হচ্ছে, কখনও বাড়িতে ইট মারা হচ্ছে আবার কখনও দরজায় লাথি মেরে পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব মেনেই আমি দেখা করতে এসেছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “ধ্রুবনীল যে আবাসনে থাকেন সেখানে পৌঁছে দেখি সেটি তালা দেওয়া। সামনে কিছু ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি তাদের তালা খুলে দেওয়ার কথা বলি। তখন তারা সুজিত বসু জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিতে থাকে।” এরপরই এককথায় দু’কথায় উত্তেজনা তুমুল আকার নেয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সব্যসাচীকে ধাক্কাধাক্কি করছে স্থানীয় একদল যুবক। বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ভিড়ের মাঝখান থেকে কোনওক্রমে সরিয়ে নিয়ে আসেন তাঁকে। ফুটেজে এও দেখা যাচ্ছে, সব্যসাচী গাড়িতে ওঠার পর যখন গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিয়েছে তখন বেশ কয়েকজন যুবক গাড়ির বনেটের উপর চাপড় মারছেন। সব্যসাচীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক সিআইএসএফ জওয়ানকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জখম অবস্থায় তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর সব্যসাচী তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “বিভন্ন জায়গাতেই তৃণমূলের লোকজন বিজেপি কর্মীদের আটকাচ্ছে। আর এইসব যা ঘটছে সব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ঘটছে।”
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে বাইরের লোক নিয়ে লেকটাউনে এসেছিলেন সব্যসাচী। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। স্থানীয় এক যুব তৃণমূল নেতা বলেন, “সব্যসাচীবাবু আবার যদি লেকটাউনে ঝামেলা পাকাতে আসেন, তাহলে আবার একই ভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে।