দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতা মনিরুল ইসলামের দাদা আনারুল ইসলামকে। লাভপুরের এক তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় আনারুলের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোলপুরের কাশিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় আনারুলকে।
সূত্রের খবর, জুলাই মাসের ৪ তারিখ লাভপুরের ভাটরা গ্রামে সহদেব বাগদি নামের এক তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। সহদেব ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য ছিলেন। গ্রামের বাইরে জমিতে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল লাভপুরের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলামের ভাই আনারুল ইসলামের। তারপর থেকেই পুলিশ খুঁজছিল আনারুলকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার তাঁকে বোলপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। তাঁকে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একাধিক জায়গা থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মনিরুল ইসলামের ভাই নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে লাভপুর থানার পুলিশ। তখনও গ্রেফতার করা হয়েছিল আনারুল ইসলামকে। যদিও তার কয়েক দিন পরেই ছাড়া পান তিনি। তার কিছুদিন পরে ফের খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় আনারুলের।
এর আগেও একাধিক ঘটনায় মনিরুল ইসলাম এবং তার পরিবারের সদস্যদের নাম জড়িয়েছে। ২০১০ সালে লাভপুরের একটি বালি ঘাটের দখলদারিকে কেন্দ্র করে এলাকার তিন সিপিএম সমর্থক ভাই ধানু শেখ, কাটুন শেখ ও তুরুক শেখকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে মনিরুল ইসলাম এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। পরে সেইকথা সবার সামনে বলতেও শোনা যায় মনিরুলকে। সেই ন ইয়ে অনেক বিতর্কও হয়েছিল। তারপরেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান মনিরুল। যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপিতে যোগ দেন ওই নেতা।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর গেরুয়া শিবিরেও একঘরে হয়ে পড়েছেন মনিরুল। বীরভূম জেলার বিজেপি নেতৃত্ব এই বিধায়ককে দলে নেওয়ার বিষয়টি একেবারেই মানতে পারেনি। রাজ্য নেতৃত্বকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, যে মনিরুল এতদিন পর্যন্ত ধরে ধরে বিজেপি কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে ফাঁসাতেন, কর্মীরা তাঁকে কোনও ভাবেই নেতা হিসেবে মানতে পারবেন না।