দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় প্রথম দফার ভোটের জন্য নোটিফিকেশন জারি হবে মঙ্গলবার। প্রথম দফায় যে ৩০ টি বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে তার জন্য মনোনয়ন পেশের শেষ দিন হল ৯ মার্চ। অর্থাৎ হাতে মাত্র ৮ দিন। আবার দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্যও মনোনয়ন পেশের শেষ দিন হল ১২ মার্চ। মানে হাতে রয়েছে আর ১১ দিন।
এই পরিস্থিতিতে আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিটির বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল। সূত্রের মতে, আজই প্রথম তালিকা ঘোষণা করে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় ইলেকশন কমিটি তথা পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকের হতে পারে বুধবার। তার পর সেদিনই বা পরদিন ৪ মার্চ প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।
তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর থেকে এক লপ্তে সব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়াই দলীয় রীতিতে পরিণত করেছেন মমতা। ভোট ঘোষণার দিন বা পরদিনই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেন তিনি। ব্যতিক্রম ঘটেছে এ বার। ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণার পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। শাসক দলের একটি সূত্রের মতে, সোমবার পুরো প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সম্ভাবনা কম। হয়তো প্রথম দু’দফার ভোটের জন্য তালিকা ঘোষণা করা হবে।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে এ বার বিজেপি- তৃণমূল দুই শিবিরেই টানটান উৎকন্ঠা রয়েছে। বিজেপিতে এ বার টিকিট প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক। একেকটি আসন পিছু টিকিটের বহু দাবিদার।
তৃণমূলের মধ্যে উৎকন্ঠার কারণ ভিন্ন। দল দশ বছর রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। বহু বিধায়কের বিরুদ্ধে স্থানীয় স্তরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা তৈরি হয়েছে। ফলে দলের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে যে অনেককে টিকিট নাও দিতে পারেন দিদি। প্রার্থী তালিকায় থাকতে পারে অনেক নতুন নাম। তা ছাড়া অনেক বিধায়কের আসন পরিবর্তন করা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রথম দুই দফায় ভোট হবে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু আসনে।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় কারা স্থান পাবেন এ বার সে দিকে নজর থাকবে রাজ্যবাসীর। নতুন কোনও চমক কি অপেক্ষা করছে প্রার্থী তালিকায় তা নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। দলবদলের আবহে এ বার তৃণমূলে এক ঝাঁক তরুণ অভিনেতা, অভিনেত্রী যোগ দিয়েছেন। নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে তাঁদের কি প্রার্থী তালিকায় রাখা হবে তা নিয়েও কৌতুহলের অন্ত নেই। এ বারের নির্বাচনে নতুন প্রজন্মকে বেশি করে দলে টানার একটা লক্ষ্যে নেমেছে তৃণমূল। তাই এ ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের মুখ কাদের করা হবে, বা আদৌ করা হবে কিনা সে দিকেও নজর থাকবে রাজ্যবাসীর।