দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ সমস্ত বাধা ধূলিসাৎ করে ত্রিপুরা কাঁপালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, আশিস দাসদের তৃণমূলে নিলেন। ২০২৩-এর ত্রিপুরা বিধনসভা নির্বাচনের রণভেরী বাজল তাঁর গলায়। বললেন, ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিজেপির বিসর্জন। যত পারেন দিল্লির নেতাদের ডেকে নিন। অভিষেকের দাওয়াই তাঁরা সরকার ভাঙবেন না কিন্তু ক্ষমতাদখল করবেন গণতান্ত্রিক উপায়ে।
রবিবার আগরতলার সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন এবার ত্রিপুরায় যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিসেম্বরেই ত্রিপুরা যাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।বিবেকানন্দ ময়দানে সভা করবেন মমতা। তবে তারিখ এখনও স্থির করা যায়নি। অভিষেক বলেছেন, আমি কথা দিচ্ছি ডিসেম্বরের প্রথম কি দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বিবেকানন্দ ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হবে।
তিনি বলেন, আজ খুঁটিপুজো হল তৃণমূলের। ২০২৩-এ বিজেপির বিসর্জন হয়ে যাবে। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, বিজেপি ভাইরাসের একমাত্র ভ্যাকসিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরসভা ভোটের সবকটি আসনে তৃণমূল লরাই করবে জানিয়েছেন অভিষেক। সেখানেই বিজেপি ভাইরাসে বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আর দ্বিতীয় ডোজটি দিতে হবে ২০২৩ সালে, আজ থেকে ১৩ মাস পরে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতির টিপ্পনি, বিপ্লব দেবের ডান-বাঁয়ের নিকটজন তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ছলের আশ্রয় নেবে না তাঁর দল।
.@BjpBiplab is now BIG FLOP DEB!
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) October 31, 2021
He has toyed with the sentiments of the people of Tripura and has proven himself to be a complete FAILURE when it comes to governance.#AbhishekBanerjeeInTripura pic.twitter.com/CjY8YmYybN
২০২৩ সালে ত্রিপুরায় ভোটের আগে ঘর-বাড়ি নিয়ে আগরতলায় বসে থাকবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। বিপ্লব দেবকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, ‘ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখান’। যেকোনও দিন যেকোনও জায়গায় বিপ্লব দেবের আহ্বানে পৌঁছে যেতে তৈরি আছেন অভিষেক। বলেছেন, সব ক্ষেত্রেই ১০ গোলে হারাব, কথা দিচ্ছি।
Electrifying energy in #Tripura! What an extraordinary, heart-warming welcome!#AbhishekBanerjeeInTripura pic.twitter.com/wvuPa3z7NE
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) October 31, 2021
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সমস্যা চলছিল ত্রিপুরায়। তা নিয়ে অভিষেকের তোপ, আমাকে এত ভয় কীসের? আমি তো অনেক ছোট। যেখানে ডাকবেন চলে যাব। আমার জন্য ত্রিপুরার মানুষকে শাস্তি দেবেন না, ১৪৪ ধারা জারি করে তাঁদের হেনস্থা করবেন না।
বিপ্লব দেবকে এক হাত নিয়ে অভিষেক এদিন আরও বলেন, দিল্লি থেকে রিমোট কন্ট্রোল চালানো হয় ত্রিপুরায়, আর তার ব্যাটারি বিপ্লব দেব। ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতেই এই সরকারের এক্সপায়ারি ডেট, বিজেপি সরকারকে উপড়ে ফেলার হুংকার অভিষেকের।
ত্রিপুরায় পৌঁছতে পদে পদে বাধা পেতে হয়েছে অভিষেককে। কোভিড বিধি রাতারাতি বদলেছে সরকার। শেষ মুহূর্তে চাপ দেওয়া হয় সভাস্থল বদলানোর জন্য়েও। সেই নির্দেশ তুলতে কোর্টে দৌড়তে হয়েছে। এ প্রসঙ্গ তুলে এদিন অভিষেক বলেন, “আমাকে এত ভয় কিসের? আমার তো ৩৪ বছর বয়েস। আপনি তো ২০ বছরের বড় আমার থেকে। আপনার তো দুয়ারে গুন্ডা, প্রশাসন, এজেন্সি সব আছে। অভিষেকের তোপ, বিপ্লব দেবের রাগ আমার বিরুদ্ধে। আমার জন্যে ১৪৪ ধারা করে ত্রিপুরার মানু্ষকে সমস্যায় ফেলছেন কেন? ভয় তো আমাকে। তার জন্যে কোভিড গাইডলাইন বদলে দিয়েছে। আরে আমি তো RTPCR, ডাবল ডোজ সার্টিফিকেট দেব।”
এর পরেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের রুটম্যাপটা স্পষ্ট করলেন তিনি। বললেন,” ২০২৩ এর আগে আমি এখানে ঘর-বাড়ি নিয়ে বসে থাকব।শরীরের শেষ রক্ত দিয়ে এখানে লড়াই করব। এক ছটাক জমি দেব নাবিপ্লববাবুর আগে সিপিএম কংগ্রেস দেখেছেন। এবার টিএমসি দেখবেন।”
অভিষেকের টিপ্পনী কালকে কোর্টে জিতেছি, এবার ভোটে জিতব। তাঁর প্রতিশ্রুতি, কন্ন্যাশ্রী থেকে দুয়ারে সরকার-তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সব সুবিধেই পাবে ত্রিপুরাবাসী।