দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সর্বভারতীয় ইংরেজি চ্যানেল রিপাবলিক টিভি দাবি করে, টিআরপি রেটিং-এ তারাই দেশের শীর্ষে। মুম্বই পুলিশের সন্দেহ, মিথ্যা করে ট্যাম রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে দেখায় সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর চ্যানেল। সেজন্য রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে তদন্ত। আরও দু’টি চ্যানেলের বিরুদ্ধেও টিআরপি বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ আছে। তিনটি চ্যানেলের প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার ডেকে পাঠাতে পারে মুম্বই পুলিশ।
মুম্বই পুলিশ এদিন জানায়, টিআরপি বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে ইতিমধ্যে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের একজন একটি এজেন্সির প্রাক্তন কর্মী। সেই এজেন্সি রেটিং জানার জন্য ‘পিপলস মিটার’ বসাত। পুলিশের বক্তব্য, মিথ্যা খবর ছড়ানো নিয়ে তারা তদন্ত করছে। সেই বৃহত্তর তদন্তের অংশ হিসাবে টিআরপি বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে রিপাবলিক টিভির প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠানো হবে।
মুম্বইয়ের পুলিশ প্রধান পরমবীর সিং বলেন, অভিযুক্ত চ্যানেলগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্ত হবে। পুলিশ দেখবে, তারা কি বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য অসাধু উপায় অবলম্বন করে? শুধু রিপাবলিক টিভি নয়, আরও কয়েকটি চ্যানেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও পরীক্ষা করা হবে।
মুম্বইয়ের পুলিশ প্রধান স্পষ্ট বলেন, অভিযুক্ত চ্যানেলের ম্যানেজমেন্টের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সম্পর্কে তদন্ত করা হবে। তাঁরা যত সিনিয়রই হোন, তদন্ত থেকে রেহাই পাবেন না। যদি দেখা যায়, কেউ অসাধু পথে অর্থ সংগ্রহ করেছেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তো সিজ হবেই, পরে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরমবীর সিং বলেন, “অনেক সময় মিথ্যা করে রেটিং বাড়িয়ে দেখানো হয়। চ্যানেলগুলি বিজ্ঞাপন বাবদ বেআইনিভাবে অর্থ সংগ্রহ করে। একে জোচ্চুরি বলেই ধরা হবে।” পরে তিনি বলেন, “অনেক চ্যানেল টিআরপি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়। বিজ্ঞাপন বাবদ রাজস্ব বাড়ানোর জন্যই তারা এই কাজ করে।”
মুম্বইয়ের পুলিশ প্রধান বলেন, অনেক পরিবারকে বলা হয়, কয়েকটি চ্যানেল সারা দিন চালিয়ে রাখুন। যে পরিবারের কেউ ইংরেজি জানেন না, তাঁরাও ইংরেজি চ্যানেল চালিয়ে রাখেন। সেজন্য তাঁদের মাসে ৪-৫০০০ টাকা দেওয়া হয়।
২০১৭ সালের মে মাসে রিপাবলিক টিভির সম্প্রচার শুরু হয়। তার দুই প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অর্ণব গোস্বামী ও রাজীব চন্দ্রশেখর। ২০১৯ সালে চন্দ্রশেখর তাঁর অংশের শেয়ারের এক বড় অংশ অর্ণবকে বেচে দেন। প্রথমে চন্দ্রশেখরের এশিয়ানেট নিউজ এই চ্যানেলে অর্থ যোগাত।