দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন রাজ্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের খোঁজে বেশ কয়েকটি রাজ্য ওষুধের দোকানের দিকে নজর রাখছে। দোকানদারদের বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর কোনও উপসর্গ দেখা দিয়েছে এমন রোগীর খোঁজ করার জন্য কারা জ্বর, সর্দি, হাঁচি, শ্বাসকষ্টের ওষুধ কিনছেন সেই দিকে নজর রাখতে হবে। তাদের তথ্য সরকারকে জানাতে হবে। ইতিমধ্যেই এই পথে হেঁটেছে তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, বিহার, চণ্ডীগড়।
অনেকেই করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলেও তা গোপন করছেন। চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বাড়িতেই ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। সেই কারণেই ওষুধের দোকানগুলিতে করোনা উপসর্গের ওষুধের বিক্রিতে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। যাঁরা প্রচুর পরিমাণে জ্বর, সর্দি, কশি, শ্বাসকষ্টের ওষুধ কিনছেন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁদের ফোন নম্বর ও বাড়ির ঠিকানা নিয়ে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফলে কেউ সংক্রমিত হলে পরে তাঁকে খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। এই পদ্ধতিতে রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলেই মনে করেছে ওই সব রাজ্যের প্রশাসন।
সরকারি কর্তাদের বক্তব্য, অনেক সময়েই আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি হয়। তবে সেই সব হলেই যে তা করোনা এমনটা নয়। যেহেতু এগুলোই করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ তাই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই উপসর্গ থাকলে সেই রোগীদের পরীক্ষা করা দরকার। এই কারণেই ওষুধের দোকানগুলিকে তথ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেকে যেমন রোগ লুকিয়ে রাখতে পারেন তেমনই অনেকে চিকিৎসার ভয়ে জানাতে ভয় পান। সেই সমস্যা দূর করতে ওষুধের দোকান থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায় সরকার।