দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লোকসভায় গত অধিবেশনেই পাশ হয়। গোল বেঁধেছিল রাজ্যসভায়। এবার সংসদের উচ্চকক্ষেও পাশ হল ‘দ্য ইনস্টিটিউট অফ টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদ বিল, ২০২০’। দেশে আয়ুর্বেদ নিয়ে পঠনপাঠন, গবেষণাও জাতীয় স্বীকৃতি পাবে।
জামনগরের গুজরাটের তিনটি আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠানকে জুড়ে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্যই বিলটি আনা হয়েছিল। নতুন প্রতিষ্ঠানের নাম ইনস্টিটিউট অফ টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদ। জামনগরের গুজরাট আয়ুর্বেদ ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসেই তৈরি হবে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। নতুন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল বিলে। দেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা।
দেশে এত আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে কেন গুজরাটের বিশ্ববিদ্যালয় এই স্বীকৃতি পাচ্ছে, সেই নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা।
কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন তাই রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। জানালেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়ুর্বেদ পড়ানো হয় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পাবে। ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রক এবার বিষয়টি দেখবে।’
হর্ষ বর্ধন আরও জানালেন, দেশে ১০৩টি জাতীয় মর্যাদা সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু একটিতেও আয়ুর্বেদ পড়ানো বা এটা নিয়ে গবেষণা হয় না। এবার জামনগরের প্রতিষ্ঠানে সেটাই হবে। কেন জামনগর বিশ্ববিদ্যালয়কেই বেছে নেওয়া হল? হর্ষ বর্ধন বললেন, দেশের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হল জামনগর। ১৯৫৬ সালে ভারত সরকার এটি প্রতিষ্ঠা করে।
টিআরএস, বসপা, সিপিএম, এআইএডিএমকে–র সাংসদরা দাবি করেন, শুধু গুজরাট নয়, দেশের অন্য রাজ্যেও এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হোক। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাউডু বলেন, সাংসদদের এই দাবির দিকে মন্ত্রকের নজর দেওয়া উচিত। কংগ্রেস সাংসদ এল হনুমানথিয়ার কটাক্ষ, আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে কেরল। তার পরেও গুজরাটকে কেন এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিলে সমর্থন দিয়েও এআইএডিএমকে সংসাদ দাবি করেন, তামিলনাড়ুতেও এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে