দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভোট বছরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সরকার সামান্য কিছু হলেও আর্থিক সুবিধা দিতে পারে বলে আগাম সম্ভাবনা ছিল।হলও তাই। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেছেন, জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি খুশি হলে আপনারা বুঝতে পারবেন। আমি বিরক্ত হলেও বুঝতে পারবেন। রাজনীতিতে আমি কোনও ছলনা করি না। আপনারা আমাকে যে চিঠিটা দিয়েছেন আমার হৃদয় স্পর্শ করে গেছে। যদিও আমার টাকা নেই, পয়সা নেই। ৮৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র থেকে পাই। তবু সরকারি কর্মচারীদের গায়ে হাত পড়ুক তা আমরা চাইনি।”
তিনি বলেন, “অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। ছোট্ট একটু কথার মধ্যে দিয়ে বলে দিই। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে সামান্য একটু ডিএ দিই। এ বারও জানুয়ারি মাসে আপনারা ৩ শতাংশ ডিএ পাবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী এর পর বলেন, “যতটুকু পারলাম…মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই/দীন-দুখিনী মা যে তোদের আর তো দেওয়ার সাধ্য নাই।” সেই সঙ্গে ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা এসেছেন কষ্ট করে, আপনাদের সকলের চরণে আমার প্রণাম। আপনাদের পরিবার পরিজনকে সবাইকে বলছি সাবধানে থাকবেন। মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করবেন। যদি বেশি ভিড়ে যান তা হলে দুটো মাস্ক ব্যবহার করবেন।”
ডিএ মামলার রায়ে স্যাট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল বকেয়া ডিএ অবিলম্বে মেটাতে হবে। তার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গেছে রাজ্য। আগামী ১৬ ডিসেম্বর, বুধবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগেই তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ডিএ মামলার শুনানিতে একাধিকবার রাজ্য সরকার বলেছে, কোষাগারে টান রয়েছে। ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। অনেকের মতে, হতে পারে ১৬ তারিখের শুনানির আগে এই ঘোষণা করে আদালতে যুক্তি দেওয়ার রাস্তা করে রাখল। তাঁদের মতে, সরকার হয়তো আদালতে বলতে চাইবে, আমাদের যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে সেই অনুযায়ী দেওয়ার চেষ্টা করছি।