চিন সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে, সাথে উস্কানিমূলক আচরণ, মস্কোর বৈঠকে চিনা বিদেশমন্ত্রীকে জানালেন জয়শংকর

0
889

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লাদাখের চিন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সশস্ত্র চিনা বাহিনীর সংখ্যা বাড়তে থাকা নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তিত ভারত। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় মস্কোয় আয়োজিত চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বসে এমনটাই স্পষ্ট জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর।

জানা গেছে, এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রীকে ভারতের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, “সীমান্তে বারবারই উস্কানিমূলক আচরণ করছে চিনের সামনের সারির সৈন্যরা। একাধিক বার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অমান্য করে সংঘর্ষ পরিস্থিতি তৈরি করছে তারা। অথচ চুক্তি অনুযায়ী এত বড় চিনা বাহিনীর অস্ত্র নিয়ে মোতায়েন থাকার কথাই নয় সীমান্তে। চিন কখনওই এই কাজের কোনও বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।”.

সূত্রের খবর, প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলেছে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক এবং ভারতের তরফে জোরের সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে যে সমস্ত নীতি ও চুক্তি মেনে চলছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাশাপাশি বলা হয়েছে, “আমাদের এখনই যেদিকে জোর দিতে হবে, তা হল ভবিষ্যতে আর যেন কোনও অযাচিত সংঘর্ষ-পরিস্থিতি তৈরি না হয় সীমান্তে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সংবেদনশীল এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। দু’দেশের জন্যই এটা তাৎক্ষণিক ও জরুরি সমাধান।”

বৈঠকের পরে জানা যায়, পূর্ব লাদাখে গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা আশান্তির সমাধানে ও শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে দুই দেশই কিছু চুক্তি ও নীতি মেনে নিয়েছে।

গত কয়েক মাসে সামরিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও সীমান্ত সমস্যার সমাধানে এসে পৌঁছতে পারেনি ভারত ও চিন দুই দেশই। বরং সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে শান্তি বজায় রাখার যে আলোচনা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে তার মর্যাদা ভেঙেছে চিনই। নতুন করে আগ্রাসনের চেষ্টা দেখিয়েছে তারা। যে কারণে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে লাদাখ সীমান্তে। 

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা তথা এলএসি-তে কীভাবে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় সেই নিয়েই মুখোমুখি বৈঠকে বসেন রাজনাথ সিং ও চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য আলোচনা চলছে দু’তরফেই। এই বৈঠকেই চিনকে বার্তা দিয়ে রাজনাথ এমন কথা বলেছেন।

শনিবার রাতেই দক্ষিণ প্যাঙ্গং হ্রদের উঁচু পাহাড়ি এলাকা কব্জা করার চেষ্টা করেছিল চিনের বাহিনী। পরে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় তারা। তাদের টার্গেট ছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা চুমার এলাকা। চিনের সে উদ্দেশ্য প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। উত্তাপের আঁচ যেভাবে বাড়ছে তাতে দু’পক্ষই পরস্পরের মুখোমুখি নিজেদের যুদ্ধট্যাঙ্ক সাজিয়ে বসেছে। একে অপরের দিকে নিশানা স্থির করে আছে ট্যাঙ্কবাহিনী।

তবে বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পরে জানা গেছে, দুই দেশের মন্ত্রীরাই এটা মেনে নিয়েছেন, সীমান্তে শান্তিরক্ষার জন্য যা করণীয় তা এই মুহূর্তে দু’দেশকেই করতে হবে। তাই শান্তি-আলোচনা নিয়মিত চলবে, দু’পক্ষই দূরত্ব রাখবে নিয়্ন্ত্রণরেখা থেকে।

Previous articleকোভিড পজিটিভ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা
Next articleবাংলাকে রাজস্ব ঘাটতি খাতে ৪১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র, জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here