দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ১৭ তারিখই শেষ হয়েছে দেশের তৃতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ। ১৮ তারিখ অর্থাৎ আজ থেকে শুরু লকডাউন ৪.০। তার ঠিক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে, চতুর্থ দফার এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৩১ মে পর্যন্ত। এই সময়ে কী কী পরিষেবা চালু থাকবে আর কী কী বন্ধ থাকবে, সে গাইডলাইনও কেন্দ্র প্রকাশ করেছে কালই। তবে সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে, কোথায় কতটা সংক্রমণ তা দেখে, বুঝে এলাকাগুলিকে জ়োন-ভিত্তিক ভাগ করার ক্ষমতা থাকবে রাজ্য সরকারের হাতেই। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট রাজ্যই ঠিক করবে সেখানে কোন এলাকা সংক্রমণ বেশি হওয়ার কারণে রেড জ়োনের অন্তর্গত এবং কোন এলাকায় সংক্রমণ কম থাকায় তা গ্রিন জ়োন।
এছাড়াও সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু চলবে বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ এই সময়ে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ কোনও কাজে বেরোতে পারবেন না। কে, কতটা প্রয়োজনে, কোথায় বেরোতে পারবে, সেটাও স্থানীয় প্রশাসনই ঠিক করবে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার প্রয়োজনে ১৪৪ ধারাও জারি করতে পারে প্রশাসন।
সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে শুধু জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। রাজ্য সরকার চাইলে রাজ্যের ভিতরে ও বাইরে বাস চলতে পারে যে কোনও জায়গায় যাতায়াতে ছাড় মিলবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। পণ্য পরিবহণেও থাকবে ছাড়।
গত সপ্তাহে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, তখনই পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য বেশ কিছু রাজ্যের তরফে যুক্তি ছিল, বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে কোন জেলায় কী অবস্থা রয়েছে তা স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্যগুলির পক্ষে বুঝে সেই অনুযায়ী জোন নির্ধারণ করা অনেক সহজ৷ ফলে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেও রাজ্যগুলির সুবিধে হবে বলেই দাবি করেছিল রাজ্যগুলি৷
সেই দাবি মেনেই চতুর্থ দফার লকডাউনে রাজ্যগুলির হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ রবিবার রাতে জারি হওয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোন জেলাকে কোন জোনের আওতায় রাখা হবে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারই তা ঠিক করতে পারবে৷ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রেও তা ঠিক করবে স্থানীয় প্রশাসন৷ রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের এ বিষয়ে চিঠিও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত কোন জেলাকে রেড, অরেঞ্জ বা গ্রিন জোনে রাখা হবে, তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকই ঠিক করছিল৷ এবার শুধু জোন নির্ধারণ নয়, কন্টেনমেন্ট জোন বাদে পরিবহণ ব্যবস্থা চলাচল শুরু করার ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির উপরেই ছাড়া হয়েছে৷