পুলিস সূত্রে জানা গেছে, গাইঘাটা থানার দোগাছিয়ার মনমোহনপুর এলাকার বাসিন্দা সুশীল বাইন গত ২ বছর ধরে এই ভেজাল কারবার চালাচ্ছিল। নিজের বাড়ির একটি অংশে এই কারখানা ছিল। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে তিল, সর্ষে কিনে মজুত করত। এরপর তিল এবং সর্ষের ওজন বাড়াতে এবং টকটকে রং আনতে ঘরের মেঝে তৈরি করার কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক রং ও পাউডার ইত্যাদি মেশানো হত। এই ভেজাল তিল ও সর্ষে বস্তাবন্দি করে কলকাতার বড়বাজার–সহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হত। স্থানীয় বাজার থেকে টিন টিন রাসায়নিক রং এবং পাউডার কিনত ওই ব্যবসায়ী। শনিবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গাইঘাটা থানার পুলিস দোগাছিয়া এলাকায় সুশীলের ভেজাল কারখানায় হানা দেয়। সেখানে সুশীলকে হাতেনাতে ধরে পুলিস। পাশাপাশি, সেখান থেকে ৩০ কেজি রাসায়নিক রং, ১২ কেজি পাউডার, ৩০০ কেজি ভেজাল তিল ও সর্ষের তেল বাজেয়াপ্ত করা হয়।ওজন এবং ঝকঝকে রং আনতে তেলের সঙ্গে মেশানো হত ঘরের মেঝে তৈরির কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক রং। এ প্রসঙ্গে বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই ধরনের অনৈতিক কাজ করা সামাজিক অপরাধ। বেশ কিছুদিন ধরেই সংবাদ মাধ্যমে ভেজাল খাদ্যবস্তুর কারখানার খবর প্রকাশিত হয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছে অনেকে। তার মধ্যে এমন খবরে তঁারা বিস্মিত। এমন কারবারিদের কঠোর সাজার দাবি করেছেন এলাকার তঁারা। সোমবার ধৃতকে বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৪ দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ভেজাল কারবার চক্রে আরও কারা যুক্ত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস।