দেশের সময়, ওয়েব ডেস্ক:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাকে পাথেয় করে রাজ্য সরকারের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক-এর পরিচালনায় শুরু হলো ‘শ্রমিক মেলা’ ২০১৯। পাশাপাশি শ্রমদপ্তরের মন্ত্রী জাকির হোসেন ও নির্মল মাজি-র উপস্হিতি অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা যোগ করে। সোমবার শ্রমিক মেলার শুভ উদ্বোধন করেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি বীণা মন্ডল। প্রধান অতিথি-র আসন অলংকৃত করেন গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পুলিন বিহারী রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্হিত হন উত্তর চব্বিশ পরগনার আইএনটিটিউসি সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত। মঞ্চে থেকে গোটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোবরডাঙা পৌরসভার পৌরপ্রধান সুভাষ দত্ত। ‘শ্রমীক মেলা’ প্রসঙ্গে শ্রমিক সংগঠনের সহিদুল মোল্লা (এস,এল,ও)”দেশের সময়”-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, “উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার মধ্যে প্রথম শ্রমিক মেলা-র সূচনা হলো”। “অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নির্মাণ, পরিবহন, হকার, সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা অসংগঠিত শ্রমীকদের সাহাযার্থে মোট ২২লক্ষ্য ৭৬হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে”। “এই অর্থের মাধ্যমে মৃত্যুকালীন অনুদান, অর্থের অভাবে ছাত্র জীবনে সমস্যায় থাকা পড়ুয়াদের অনুদান, কোন দরিদ্র পরিবারের একমাত্র কর্মরত ব্যাক্তি দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সেক্ষেত্রে সেই পরিবার-কে আর্থিক অনুদান, পাশাপাশি অর্থের অভাবে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না এমন কিছু পরিবারকে সাহায্য করা সম্ভব হয়েছে”। “সাধারণত অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমীকদের এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোটা রাজ্য জুরে এই শ্রমিক মেলা অনুষ্ঠিত হবে”। পাশাপাশি তিনি বলেন, “রাজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারের এমন উদ্যোগ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ”। “কারণ গোটা বাংলায় এই অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে দিয়ে রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমীক ও তাদের পরিবারকে সুরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার”। “যার মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্হ, মৃত্যুকালীন অনুদানে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে”। “তবে কিছুক্ষেত্রে সরকারের এই উদ্যোগ সম্পর্কে সকল শ্রমিক কে অবগত করা সম্ভব হয় না”। “সেক্ষেত্রে এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সচেতন করা ও নাম নতিভুক্ত করে নেওয়া হয়েছে”। সেই সাথে সময় মতো প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে অনুদানের অর্থ যেন ঠিক মতো পৌঁছে যায় সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here