দ্বিতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ভোটের আগে এটাই মমতা-সরকারের শেষ বাজেট। এবারের রাজ্য বাজেটে চা-শিল্প নিয়ে কিছু না কিছু ঘোষণা থাকবে এমনটাই আন্দাজ করা হয়েছিল। বাজেট পেশের পরে দেখা গেল চা-শ্রমিকদের জন্য জনমোহিনী প্রকল্প নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার।
চা-শ্রমিকদের পাকাপাকি মাথা গোঁজার ঠাঁই দিতে রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প ‘চা-সুন্দরী।’ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, রাজ্যে প্রায় ৩৭০টি চা বাগান আছে। সেখানে কাজ করেন তিন লক্ষাধির চা-শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশই মহিলা। এই চা-শ্রমিকদের সিংহভাগ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন।
তাঁদের বেশিরভাগেরই মাথা গোঁজার জায়গা নেই। ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের আওতায় আগামী তিন বছর রাজ্য সরকার চা-বাগানে স্থায়ীভাবে কর্মরত গৃহহীন শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করবে। তারজন্য আগামী অর্থবর্ষে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
একসময়ে চা বাগানের মালিকপক্ষই রেশন সরবরাহ করতেন। রেশন বাবাদ যে টাকা ব্যয় হতো তা মজুরির অংশ হিসেবেই দেখানো হতো। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন হওয়ার পর থেকে বাগান শ্রমিকদের রেশনের ভার সরকারই তুলে নেয়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শ্রমিক পরিবার পিছু ৩৫ কেজি চাল-আটা পেয়ে আসছেন ডুয়ার্স-তরাইয়ের চা শ্রমিকরা।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চা-শ্রমিকদের ২ টাকা কেজি দরে চাল ছাড়াও, নিখরচায় বিদ্যুৎ, চিকিৎসার ব্যবস্থা, মিড-ডে মিল ও আরও নানা সুবিধা রয়েছে।