দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ শুরু থেকেই পুলিশের দাবি ছিল, দুর্ঘটনার কবলে পড়েই নবমীর রাতে মৃত্যু হয়েছে নিমতার যুবক দেবাঞ্জন দাসের। যদিও প্রথম থেকেই পুলিশের এই দাবি মানতে চাননি নিহত যুবকের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ ছিল, দেবাঞ্জনের প্রেমিকার প্রাক্তন প্রেমিকই এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে। অবশেষে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হল, গুলি করেই খুন করা হয়েছে দেবাঞ্জন দাসকে।
- শুরু থেকেই পুলিশের দাবি ছিল, দুর্ঘটনার কবলে পড়েই নবমীর রাতে মৃত্যু হয়েছে নিমতার যুবক দেবাঞ্জন দাসের।
- যদিও প্রথম থেকেই পুলিশের এই দাবি মানতে চাননি নিহত যুবকের পরিবার।
- তাঁদের অভিযোগ ছিল, দেবাঞ্জনের প্রেমিকার প্রাক্তন প্রেমিকই এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত দেবাঞ্জনের দেহে মোট দুটি ক্ষতচিহ্নের প্রমাণ মিলেছে, যা বুলেটের। আর শুরু থেকেই পুলিশের ‘নেগেটিভ’ ভূমিকা নিয়ে এবার সমালোচনা শুরু হয়েছে সর্বস্তরে। পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। নিমতা থানার আইসি-র বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে খুনের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
দুর্গাপুজোয় নবমীর দিন বান্ধবীকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে গিয়ে নিজের গাড়িতেই রহস্যমৃত্যু হয় ২০ বছরের তরতাজা যুবক দেবাঞ্জন দাসের। অভিযোগ ছিল, তাঁর মাথার পিছন থেকে গুলি করা হয়েছে এবং গুলিটি মুখের সামনে দিয়ে বাইরে বেরিয়েছে। গাড়ির ব্রেক প্যাডেলের কাছে পড়ে থাকতে দেখা যায় বুলেটের টুকরো। ড্যাশবোর্ডের নীচে পাওয়া যায় গুলির খোল।
এরপরই দেবাঞ্জনের পরিবার নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে উলটে তাঁদেরকে ভয় দেখানো হয় বলে দাবি করছেন দেবাঞ্জনের বাবা। তিনি আরও অভিযোগ করেন, গাড়িটি যদি দুর্ঘটনার কবলে পড়ত, তাহলে চালকের সিটের এয়ারব্যাগ খুলে যেত। কিন্তু গাড়িতে থাকা এয়ারব্যাগ খোলেনি। ঘটনার পর ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও গাড়িটির এখনও কোনও ফরেন্সিক পরীক্ষা হয়নি।
ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যম নড়চড়ে বসতেই পুলিশের টনক নড়ে। বুধবার রাতেই দেবাঞ্জনের বাড়িতে যান নিমতা থানার আইসি। বৃহস্পতিবার নিমতা থানায় ছুটে আসেন স্বয়ং পুলিস কমিশনার।
তদন্তকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দেবাঞ্জনের গাড়িটিও পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। ঘটনার ৮ দিন পর প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা হয় দেবাঞ্জনের গাড়িটি।