দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গায়ত্রী মন্ত্র ও প্রাণায়াম নাকি কোভিড প্রতিরোধে সক্ষম, এই নিয়েই এবার রীতিমত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খোদ আইসিএমআর অর্থাৎ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে ট্রায়ালের জন্য হৃষীকেশের এইমস-কে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-র তরফে।
সূত্রের খবর, গায়ত্রী মন্ত্র ও প্রাণায়ম নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে হৃষীকেশ এইমস। এবার আলাদা করে ২০ জন কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি বেছে নিয়ে তাঁদের উপর চলবে ট্রায়াল। পেশাদার যোগ ব্যায়ামের শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে চলবে এই পরীক্ষা। প্রাথমিক ভাবে ২০ জন কোভিড আক্রান্তদের দুটি দলে ভাগ করা হবে। প্রথম দশ জনকে নিয়মিত গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করানো হবে, শেষ দশ জনকে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করানো হবে। ১৪ দিন পরে দেখা হবে ওই ২০ জন আক্রান্তের শরীরে কোভিড প্রতিরোধ কতটা হল।
গবেষকদের মতে, কোভিডের এই সার্স-কভ-২ ভাইরাসের আক্রমণ দেহের ফুসফুস আক্রান্ত হয়। এই ট্রায়ালের পর তাঁদের ফুসফুসের কোষের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রদাহের মাত্রা কিছুটা কম হয়েছে কিনা তা খুঁটিয়ে দেখা হবে। সেরে ওঠার ক্ষেত্রে কত সময় লেগেছে, তাতে কোনও পার্থক্য আছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
এইমস-এর চিকিৎসক পালমোনোলজিস্ট ডক্টর রুচি দুয়া বলেন, ওই ট্রায়ালের ২০ জন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার কতটা উন্নতি হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে আগামী কয়েক মাস ধরেও। এই ট্রায়াল গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ওপর করা হবে না বলে জানা গেছে।
কোভিডের গোড়া থেকেই উপসর্গহীন ও হালকা উপসর্গের করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি আয়ুর্বেদ ও যোগব্যায়ামের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। অন্যান্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা যেমন পতঞ্জলির করোনিলকেও কোভিড চিকিৎসার একটি সাপোর্টিভ মেডিসিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এর আগেও রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে যোগ ব্যায়াম বা বিকল্প ওষুধের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।