দেশের সময়: পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচার রুখতে সম্প্রতি জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা। প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়তেই অভিনব পদ্ধতিতে সোনা পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে পাচারকারীরা। আবারও পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হলো অভিনব পদ্ধতিতে পাচার হওয়া কয়েক লক্ষ টাকার সোনা। দেখুন ভিডিও
শনিবার দুপুরে পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার গিরিধর সরাঙ্গি সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে পরপর তিন দিনে ৫ ব্যক্তিকে আটক করে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ১ কিলো ৩৯৪ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার ভারতীয় বাজার মূল্য প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকা।
শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের নজর এড়াতে পাচারকারীরা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে সোনাগুলি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করছিল বলে তিনি জানান।
কী সেই পদ্ধতি? কী ভাবে পাচার হচ্ছে সোনা,? শুল্ক দফতরের নজর এড়াতে সোনার বিস্কুটের পরিবর্তে পাচারকারীরা ক্যাপসুলের মধ্যে করে সোনা নিয়ে আসছে৷ কখনও আবার মোবাইলের কভারের মধ্যে করে পাতলা সোনার পাত সেট করে নিয়ে আসছে। কখনওবা সোনার গহনার উপরে রুপো , তামা বিভিন্ন রঙের প্রলেপ লাগিয়ে হাতে করে নিয়ে আসছে ৷যা দেখে খালি চোখে মনে হবে ইমিটেশন জুয়েনারী৷
শুল্ক দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, চলতি সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের এক বাসিন্দা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময় সন্দেহজনক ভাবে তাঁকে আটক করে তল্লাশি চালালে তার অন্তর্বাস থেকে একটি ক্যাপসুল মেলে। ক্যাপসুলটি ভাঙতেই তার মধ্য থেকে ৩৬৯ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়। শুক্রবার তিন ব্যক্তি সোনার গহনায় রূপো,তামা সহ বিভিন্ন ধাতুর রঙের প্রলেপ লাগিয়ে সেগুলি নিয়ে পেট্রাপোল সীমান্তে এসেছিল। তারা গহনাগুলো হাতে পড়েছিল।আধিকারিকরা তাদের আটক করলে রহস্য ফাঁস হয় ৷ উদ্ধার হয় প্রায় ৬৭৫ গ্রাম সোনা।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ থেকে আসা এক ভারতীয় যাত্রীকে আটক করে তল্লাশি চালালে তার মোবাইল ফোনের মধ্যে থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার পাত উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তি তার মোবাইলের ব্যাটারির নিচে সোনার পাতটি সেট করে রেখেছিল৷ বাইরে থেকে দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই৷ ৷অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার গিরিধর সরাঙ্গি জানান” পেট্রাপোল সীমান্তের স্থল বন্দর এলাকা দিয়ে যেকোনো রকম পাচার রুখতে ধারাবাহিক তল্লাশি অভিযান চলবে।”