‘কেউ কেউ স্রেফ ঝগড়া করে কাটিয়ে দিল’ মমতা সরকারকে খোঁচা মোদীর

0
1745

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : হলদিয়ার সভায় দাঁড়িয়ে ত্রিপুরা সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর প্রায় এক মাস হয়ে গেল। মঙ্গলবার ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের তিন বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেমন ডবল ইঞ্জিন সরকারের সুফলের কথা বললেন, তেমনই মমতা সরকারকেও খোঁচা দিলেন মোদী। বললেন, কেউ কেউ তো দিল্লির সঙ্গে সারাক্ষণ ঝগড়া করেই কাটিয়ে দিল। সে জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ কত মানুষ পেল না!

এদিন ত্রিপুরায় ৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ অঙ্ক সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে রয়েছে দুটি জাতীয় সড়কের সংস্কার ও সম্প্রসারণ, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী সেতু, ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের মতো পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্প। এর মধ্যে কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও কয়েকটির শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “পিএম কিষান নিধি থেকে আয়ুষ্মান ভারতের মতো প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে ত্রিপুরায়। ডবল ইঞ্জিন সরকারের কী গুরুত্ব তা ত্রিপুরার মানুষ উপলব্ধি করতে পারছেন। আপনাদের পড়শি রাজ্যের মানুষও এখন ডবল ইঞ্জিন সরকারের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ত্রিপুরা সরকার যখন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করছে তখন কোনও কোনও রাজ্য আছে, দিল্লির সঙ্গে ঝগড়া করেই সময় কাটিয়ে দিয়েছে। স্রেফ রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পেতে দেয়নি।”

বলার অপেক্ষা রাখে না প্রধানমন্ত্রী কোন দিকে ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। জানুয়ারি মাসের শেষে হঠাৎ করেই ত্রিপুরা-বাংলা তুলনা শুরু হয় বঙ্গ রাজনীতিতে। পূর্ব বর্ধমানে সিপিএমের একটি জনসভায় গিয়ে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য বলেছিলেন, “তৃণমূলকে হারাতে হবে ঠিকই কিন্তু তাই বলে বিজেপিকে আনবেন না। বিজেপিকে আনা মানে তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ দেওয়া। ত্রিপুরায় গিয়ে দেখে আসুন, এই তিন বছরে বিজেপি সরকার কী সর্বনাশটা করেছে।”

তারপর মানিকবাবুর বক্তৃতাকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক জনসভায় বলতে শুরু করেন, “শুনেছেন তো ত্রিপুরার এক্স চিফ মিনিস্টার মানিক সরকার কী বলেছেন। ত্রিপুরায় কী নৈরাজ্য চালাচ্ছে বিজেপি। ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেয়ে নিয়েছে।”

এ সবের পর হলদিয়ার সমাবেশ থেকে ত্রিপুরা সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মোদী। গ্রাম-শহরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাস্তবায়ন নিয়েও বিপ্লব দেব সরকারের কাজে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্যটিতে একসঙ্গে ৮০ হাজার বাড়ি হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। অনেকের মতে, যে রাজ্যের জনসংখ্যাই ৪০ লক্ষের কম সেখানে ৮০ হাজারটি পাকা বাড়ি পাওয়া মানে বড় বিষয়।

এদিনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তিনিও বলেন, মৈত্রী সেতু সমগ্র উত্তর-পূর্বের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করবে। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ ও আদানপ্রদানের পথও প্রশস্ত হবে।

Previous articleভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম: ভেবেই রেখেছিলাম, এ বার সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হব, বললেন মমতা
Next articleবিরোধিতা উড়িয়ে গোপালনগরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বিশাল মিছিল বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল রায়ের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here