দেশের সময়, ওয়েবডেস্কঃডিসেম্বরের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেল। তবু শহরে সে ভাবে শীতের দেখা নেই। এখনও ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে শহরবাসীকে। এখনই পরিস্থিতির পরিবর্তনের কোনও আশার কথা শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, কলকাতায় কড়া ঠান্ডা পড়ার এখনও দেরি আছে। তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে।
সকাল হলেই রোজ শহরজুড়ে দেখা যাচ্ছে কুয়াশার স্তর। আবার বেলা বাড়তেই কুয়াশা কেটে গিয়ে চড়চড় করে রোদ উঠছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও যথেষ্ট বেশি। স্বাভাবিকভাবেই ডিসেম্বরের প্রায় মাঝামাঝি এসেও গরমের অনুভূতি কাটছে না শহরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই পরিস্থিতিই বজায় থাকবে। অর্থাত্ এখনই কড়া শীতের কোনও আশা না-করাই ভালো৷
সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এ সপ্তাহে তাপমাত্রা এর থেকে বিশেষ কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। বজায় থাকবে অত্যধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতাও।
সপ্তাহে তাপমাত্রা এর থেকে বিশেষ কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। বজায় থাকবে অত্যধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতাও।
কলকাতার এই পরিস্থিতি হলেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কিছুটা ঠান্ডা পড়েছে। সীমান্ত শহর বনগাঁতে সোমবার রাত থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা শহর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত মুখ ঢেকে বসে ছিল সূর্য, ইছামতী নদীও কুয়াশার আড়ালে ছিল স্থির৷ অনেকের বাড়িতেই বেরিয়েছে কাঁথা-কম্বল। সকালে ও রাতের দিকে মানুষকে ফুলহাতা সোয়েটারও গায়ে দিতে দেখা যাচ্ছে। তবে বেলা বাড়লে রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসছে গরমও। ভালোই ঠান্ডা পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। জাঁকিয়ে শীত না-পড়লেও, সেখানকার জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। সকালের দিকে আকাশ থাকছে মেঘলা। হালকা বৃষ্টির জেরে কমছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এখন কিছুদিন হালকা বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। তাপমাত্রার পারদ নামার সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার থেকে৷