কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান দেখতে চান ট্রাম্প? বড় বার্তা ভারত- পাকিস্তানকে

0
31

ভারত পাকিস্তান যে ঘাত-প্রত্যাঘাতের পর্ব শেষে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিশ্বকে সে বার্তা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, দুই দেশ পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি। তার পরের কয়েকঘণ্টায় যদিও ভারতের বিদেশ সচিব সাফ জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।

ঠিক তার পরের দিন, রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। তা নিয়ে কিছুক্ষণেই চর্চা। কী লিখেছেন ট্রাম্প? তাতে তিনি, ভারত-পাক দু’ দেশকে যুদ্ধ নয়, বাণিজ্যে আহ্বান করেছেন। একই সঙ্গে লিখেছেন, তিনি দু’ দেশের সঙ্গেই কাজ করতে চান। দেখতে চান, কয়েক দশক ধরে চলা কাশ্মীর ইস্যুর যদি কোনও সমাধানের পথ বের করা যায়, ‘হাজার বছর পরেও’।এই

ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত-পাক নেতৃত্বকে কুর্নিশ জানিয়ে লিখেছেন, দুই দেশের নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছিল, সময় এসেছে উভয় আগ্রাসন বন্ধের, যা আরও বেশি মৃত্যু, ধ্বংসের কারণ হতে পারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দু’ দেশকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সাহায্য করেছে, সে প্রসঙ্গও মনে করিয়ে দিয়েছেন । এরপরেই ট্রাম্প লেখেন, ‘যদিও আলোচনা হয়নি, তবে আমি এই দুই দেশের সঙ্গেই উল্লেখযোগ্যভাবে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চলেছি।‘

পোস্টের একেবারে শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, দু’ দেশের সঙ্গে কাজ করে যাবেন তিনি, দেখতে, দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা ‘কাশ্মীর’ সমস্যার কোনও সমাধান উঠে আসে।

উল্লেখ্য, দু’ দেশের সংঘর্ষবিরতি প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিয়ো শনিবার যুদ্ধবিরতি কথা জানিয়ে এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘‘ভান্স (মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট) এবং আমি গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শাহবাজ শরিফ, ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং আসিম মালিক (আইএসআই প্রধান)-সহ ঊর্ধ্বতন ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’’

Previous articleIndia Pakistan Tensionচুক্তি ভেঙেছে পাকিস্তান, অস্ত্রবিরতির পরেও পাক হামলা নিয়ে কড়া বিবৃতি ভারতের ,সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি
Next articleসিঁদুর যারা মুছেছিল ,সাজা পেয়েছে: ব্রহ্মস-কারখানা উদ্বোধন করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here