ইন্দ্রজিৎ রায়, শান্তিনিকেতন
কলা ভবনের ১০০বছর পূর্তি উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর জন্য এক অভূতপূর্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করল বিশ্বভারতীর কলাভবন কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছর পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের যে শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হত শান্তিনিকেতনের নন্দন আর্ট গ্যালারিতে তা শুধু কলা ভবনের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং পরীক্ষকদের ঘণ্টাখানেকের মূল্যায়নের পরপরই শেষ হয়ে যেত প্রদর্শনী।
এ বছর তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। “পেইন্টিং, স্কাল্পচার, মিউরাল, গ্রাফিক- আর্ট, ডিজাইন ও আর্ট হিস্ট্রির বি.এফ.এ. (ব্যাচেলরস্ অফ ফাইন আর্টস) এবং এম.এফ.এ. (মাস্টার্স অফ ফাইন আর্টস) এর শেষবর্ষের পড়ুয়াদের বার্ষিক মূল্যায়নের পর প্রদর্শনী খুলে দেওয়া হবে সাধারণের জন্য এবং তা চলবে তিন দিন।
উল্লেখ্য বি.এফ.এ. ছাত্র-ছাত্রীদের প্রদর্শনী চলবে ৩oশে মে থেকে ১লা জুন এবং এম.এফ.এ. পড়ুয়াদের শিল্পকলা প্রদর্শিত হবে ৬থেকে ৮জুন। গত বছর পর্যন্ত পরিসরও ছিল অল্প, শান্তিনিকেতনের নন্দন আর্ট গ্যালারিতে এই প্রদর্শনী হত কিন্তু এবছর শান্তিনিকেতনের নন্দন আর্ট গ্যালারি, নাট্যঘর সহ কলাভবন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্টুডিও কলা-সংগীত ভবনের বিশাল জায়গাজুড়ে প্রদর্শিত হবে ছাত্রছাত্রীদের শিল্পকর্ম “- বলে জানান কলা ভবনের অধ্যাপকপ্রশান্ত সাহু।
তিনি যোগ করেন এতে যে সমস্ত পড়ুয়া পরবর্তীকালে নিজেদের প্র্যাকটিস আর্টিস্ট হিসেবে তুলে ধরবেন তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ মঞ্চ। শুধু যে ফাইনাল ইয়ারের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী করতে পারবে তাই নয়, ছাত্রছাত্রীরা চাইলে তাদের পুরনো শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে তুলে ধরতে পারে।
কলা ভবনের এই উদ্যোগকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তনী থেকে আশ্রমিক সকলে। কলা ভবনের অধ্যক্ষ গৌতম দাস জানিয়েছেন – “পরীক্ষার মূল্যায়নের পাশাপাশি এই ধরনের প্রদর্শনী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিজ্ঞতা আরও বাড়াবে।
প্রদর্শনীর খবর যাতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। শান্তিনিকেতন, কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গার শিল্পী ও বিভিন্ন গ্যালারির কিউরেটরদের এই প্রদর্শনীতে যোগদান করার কথা। এ বছর যদি সাফল্য আসে তাহলে প্রতি বছর এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”