দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন তিনি নন্দীগ্রাম থেকে লড়বেন। অন্য দিকে দক্ষিণ কলকাতায় রোড শো বিজেপির। সেই রোড শোয়ে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা। টালিগঞ্জ থেকে শুরু হয়েছে মিছিল। শেষ হবে রাসবিহারি মোড়ে। সেখানে সভা করবেন শুভেন্দু-দিলীপরা। সেই সভা থেকে মমতার ঘোষণার পর শুভেন্দু কী বলেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
দক্ষিণ কলকাতায় শেষ কবে বিজেপির এত বড় শো হয়েছে, কেউ মনে করে বলতে পারবে না। সোমবার বিকেলে টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে শুরু করে রাসবিহারী অ্যাভেনিউর উদ্দেশে রওনা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কিন্তু সেই মিছিল পিএসসি ভবনের কাছে পৌঁছতেই রাস্তার ওপার থেকে ধেয়ে এলো একের পর ইট। আধলা ইট নিয়ে ছোড়া হল বিজেপির মিছিলে। তা সরাসরি সম্প্রচার হল বৈদ্যুতিন ও বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে। কলকাতায় বুঝি এটাই দেখা বাকি ছিল।
মাস খানেক আগে ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার মিছিলে ইট ছুড়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাতে আহত হয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়ের মতো প্রবীণ নেতারা। তাঁদের ও সাংবাদিকদের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল। সোমবার দিবালোকে ফের ঢিল ছোড় হল বিজেপির মিছিলে।
কলকাতায় রাজনৈতিক হিংসার ইতিহাস দীর্ঘ। কংগ্রেস, বাম ও পরে তৃণমূল জমানায় কিছু কিছু এলাকায় ভোটের দিন কী পরিমাণ বোমাবাজি হয় তার অভিজ্ঞতা অনেকের রয়েছে। কিন্তু মিছিলে ঢিল ছোড়ার সংস্কৃতির আমদানি সম্ভবত এই প্রথম।
মাস খানেক আগে ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার মিছিলে ইট ছুড়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাতে আহত হয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়ের মতো প্রবীণ নেতারা। তাঁদের ও সাংবাদিকদের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল। সোমবার দিবালোকে ফের ঢিল ছোড় হল বিজেপির মিছিলে।
কলকাতায় রাজনৈতিক হিংসার ইতিহাস দীর্ঘ। কংগ্রেস, বাম ও পরে তৃণমূল জমানায় কিছু কিছু এলাকায় ভোটের দিন কী পরিমাণ বোমাবাজি হয় তার অভিজ্ঞতা অনেকের রয়েছে। কিন্তু মিছিলে ঢিল ছোড়ার সংস্কৃতির আমদানি সম্ভবত এই প্রথম।
সোমবার এ ঘটনার নিন্দা করেছে সমস্ত বিরোধী দল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “তৃণমূল আর রাজনৈতিক মোকাবিলা করতে পারছে না। গুন্ডামিতে নেমে পড়েছে।” তাঁর কথায়, “আমি তো বলেছি, বাংলায় গণতন্ত্র নেই। তা আবার প্রমাণ হয়ে গেল।”
বিজেপি মুখপাত্ররা বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামে তৃণমূল যা করেছিল, এ বার তা শহরেও করতে চাইছি। বিরোধীদের মেরে ধরে ভয় দেখিয়ে ভোট লুঠ করার ধান্দা করছে। কিন্তু এ বার তা আর হবে না। মানুষ প্রতিরোধ করবে।”
দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, “নির্বাচন কমিশনের কর্তারা ইতিমধ্যে কয়েক দফায় বাংলায় এসেছেন। তাঁরাও নিশ্চয়ই এ সব ফুটেজ দেখবেন। ফলে বিরোধীদের আর তাঁদের কাছে নতুন করে অভিযোগ জানাতে হবে না।”