দেশের সময় বনগাঁ: শুক্রবার কাতার থেকে বনগাঁয় ফিরেছেন যুবক, অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিনি গৃহবন্দি না থেকে স্বাভাবিকভাবেই মেলামেশা করছেন এলাকার মানুষ ও পরিজনদের সাথে, এই খবর পেয়ে বনগাঁ শিমুলতলা এলাকার ওই যুবকের বাড়িতে পৌঁছে যান বনগাঁ থানার আধিকারিক মানস চৌধুরী, সাথে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, পুলিশের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে যুবকের বাড়িতে গিয়ে যুবক ও তার পরিজনদের সাথে কথা বলেন মানুষ বাবু, তিনি আবেদন করেন বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদেশ থেকে এলে তাকে স্বেচ্ছায় ১৪ দিন গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হবে৷
প্রসঙ্গত করোনাভাইরাস ঠেকাতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে৷ এদিন যুবকের বাড়িতে পৌঁছে বনগাঁ থানার পক্ষ থেকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়, পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয় নিজেদের স্বার্থে বাইরে থেকে কেউ এলাকায় এলে তাকে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী থাকার ব্যাপারে, এর পাশাপাশি এদিন বনগাঁ থানার পক্ষ থেকে বিদেশ থেকে আসা দুই ব্যক্তি কেও পুলিশের উদ্যোগে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। পুলিশের এই ভূমিকায় স্বভাবতই খুশি বনগাঁবাসী ৷
পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় সিভিক ভলেন্টিয়ারস দের নিয়ে বিশেষ আলোচনা শিবির অনুষ্ঠিত হল হাবরায়৷মূলত দেশের বাইরে থেকে বা দেশের অন্য এলাকা থেকে কোন ব্যক্তি এলাকায় আসছেন কিনা বা কারো বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য এদিন এই শিবিরের আয়োজন করা হয় হাবরা থানায়৷এদিন পরিষ্কার ভাবে সিভিক ভলেন্টিয়ার দের জানানো হয় প্রত্যেকের নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখবার জন্য, বাইরে থেকে কেউ এলেই সরকারি নিয়ম মেনে তাকে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হয়ে থাকার আবেদন জানানোর পাশাপাশি বিষয়টি থানার আধিকারিকদের জানানোর জন্যও বলা হয়েছে৷
বনগাঁ মহাকুমা জুড়ে সকল নাগরিকের কাছে করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্কতা এবং সচেতনতার প্রচার করছেন বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ। বিশেষ করে তিনি অনুরোধ রাখছেন এই মহাকুমার বিভিন্ন মানুষ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এবং দেশের বাইরে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন তেমন কেউ যদি বাইরে থেকে বাড়ি আসে তাহলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং ১৪দিনের জন্যে আলাদা ঘরে থাকার অনুরোধ করছেন। অন্যথায় পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে হবে বলে নিয়মিত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
বনগাঁ, বাগদা,গাইঘাটাব্লকের সমস্ত পঞ্চায়েত গুলিকেও এ বিষয়ে নজরদারি রাখতে অনুরোধ করছেন। দেশের সময় কে গোপাল বাবু জানান ২০০০ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় বাবা (প্রয়াত ভূপেন শেঠ)র সঙ্গে থেকে শিখেছি কি ভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়৷ সেই সময়ের অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেএখন ফের পথে নেমেছি।মানুষের পাশে থাকব এবং করোনার মোকাবিলা করব সর্ব শক্তি দিয়ে৷ বিভিন্ন মঠ,মন্দির,সহ জেলের কয়েদি থেকে শুরু করে বিএসএফ জওয়ান এবং পথ চলতি সাধারণ মানুষের হাতে মাস্ক তুলে দিচ্ছেন,স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে।