কুন্তল চক্রবর্তী,কলকাতা: চারিদিকে যখন করোনা ভয়, তখন এ এক অভিনব মিষ্টি তৈরীর উদ্যোগ। একেবারে করোনা ভাইরাসের মতো দেখতে মিষ্টি। বাঙালি মানেই মিষ্টি প্রিয়। এটা গোটা দুনিয়া জানে। আর নিত্য নতুন মিষ্টি তৈরি করাও বাংলার মিষ্টান্ন শিল্পের এক চিরন্তন ঐতিহ্য। খোঁজ নিলে জানা যাবে সব মিষ্টির পিছনেই আছে নানা ইতিহাস। কলকাতার রসগোল্লা থেকে চন্দননদরের জলভরা সন্দেশ কিংবা বর্ধমানের সীতাভোগ সবের পিছনেই আছে অনেক গল্প। তেমনই এক গল্প তৈরি হল এই করোনা ভীতির মধ্যে।
লকডাউনের প্রথম পর্বে মিষ্টির দোকানও খোলা ছিল না রাজ্যে। কিন্তু প্রচুর দুধ নষ্ট হচ্ছে দেখে পরবর্তী সময়ে দিনে চার ঘণ্টার জন্য মিষ্টির দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যাস, সঙ্গে সঙ্গেই নতুন কিছু করার তাগিদ তৈরি হয়ে গিয়েছে মিষ্টান্ন শিল্পীদের মধ্যে। তৈরি হয়ে গিয়েছে করোনা মিষ্টি।
দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান হিন্দুস্থান সুইটস নিয়ে এসেছে করোনা সন্দেশ। শুধু রসনায় তৃপ্তি আনতেই নয়, সেই সঙ্গে কোভিড-১৯ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই নাকি এই মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ওই মিষ্টির দোকান।
ওই দোকানের তরফে রবিন পাল জানিয়েছেন, “এটা আমাদের পক্ষ থেকে মিষ্টিরসিক বাঙালিদের জন্য মিষ্টি বার্তা– করোনাকে চিনুন, জানুন। সাবধানে থাকুন। মিষ্টির দুনিয়ায় বিপ্লব এনেছে ফিউশন মিষ্টি। সেই ফিউশনে ভর দিয়েই এমন সন্দেশ বানানোর কথা ভাবা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “আমাদের স্লোগানটাই হচ্ছে, আমরা করোনো ভাইরাসকে ভয় পাব না, হজম করব! আমরা করোনা ভাইরাসকে পরাস্ত করব! সন্দেশের সঙ্গে আমরা করোনা ভাইরাস আকারে কাপকেকও তৈরি করেছি। এর মধ্যেই সন্দেশ এবং কাপকেক ক্রেতাদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়েছে।