দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও বেলাগাম হচ্ছে করোনা সংক্রমণ । ভোটবঙ্গে নির্বাচনী সভা ঘিরে করোনা আবহে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই কলকাতায় বড় সভা বাতিল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড় জমায়েত বাতিল করেছে বামেরাও। বাংলায় প্রচার কর্মসূচি বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন রাহুল গান্ধী। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাংলায় কোনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা বাতিল হচ্ছে না।
বরং, করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে মোদীর সভায়। সেইসঙ্গে নমোর নির্বাচনী কর্মসূচিতে কাটছাঁট করা হতে পারে। সূত্রের খবর, বাংলায় মোদীর আর যে চারটি সভা রয়েছে, তা একদিনে করা হতে পারে।
বাংলায় মোদীর সভা প্রসঙ্গে এদিন টুইটারে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় লেখেন, ‘পিএমও-র নির্দেশ মেনে প্রধানমন্ত্রীর সভায় বদল করা হয়েছে। সামাজিক দুরত্ববিধি মেনেই সভার আয়োজন করা হবে।’ সূত্রের খবর, করোনা প্রোটোকল মেনেই মোদীর সভা করা হবে। সংক্রমণমুক্ত করেই মোদীর সভায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। রাখা হবে বড় এলইডি স্ক্রিন।
कोरोना संक्रमण को देखते हुए प्रधानमंत्री कार्यालय से निर्देश प्राप्त हुए हैं, कि माननीय प्रधानमंत्री जी की सभाओं का स्वरूप बदला जाए। सोशल डिस्टेंसिंग का विशेष ध्यान रखा जाए।
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) April 19, 2021
উল্লেখ্য, সংক্রমণ রুখতে বাংলায় সমস্ত রাজনৈতিক সমাবেশ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। রবিবার টুইটারে সোনিয়া-পুত্র লিখেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত সভা বাতিল করছি।সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলব, এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজনৈতিক সভা করা নিয়ে আপনারা ভেবে দেখুন।’ লাগামহীন সংক্রমণে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই বড় জমায়েত বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআইএম।
অন্যদিকে, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বঙ্গবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০ সেফ হোমে ১১ হাজার বেড রয়েছে। আরও সাড়ে ৪ হাজার বেড বাড়ানো হবে। ৪০০ অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ করছে।’ রাজ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই বলেও জানান তিনি।