দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনাভাইরাসের জেরে বাতিল হল চিনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিশ্বভারতীর সেমিনার। প্রতিবছর বছরের শুরুতেই বিশ্বভারতীর চীনা ভবনে চিনের প্রতিনিধি ও পড়ুয়ারা এসে সেমিনারে যোগ দিতেন কিন্তু এবছর তা বন্ধ রাখা হয়েছে। সফর বাতিল করতে চেয়ে চিন থেকে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনেই সম্মতি জানিয়েছিল বিশ্বভারতী।

আগামী মে মাসেও একটি প্রতিনিধি দলের বিশ্বভারতীতে আসার কথা। সেটিও হবে কিনা তা স্পষ্ট নয় কারণ এই মুহূর্তে সেখান থেকে আসতে পারছেন না অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা৷

আপাতত চিনের ৫ জন পড়ুয়া আছেন বিশ্বভারতীতে৷ তাঁরা তাঁদের নিজেদের দেশের অবস্থা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের সচেতনতা সেমিনার করা হয়েছে। বিশ্বভারতীর বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

বিশ্বভারতী পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক মোহিত সাহা বলেন, “বিশ্বভারতী ও বোলপুর শহরে বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের আনাগোনা হয়ে থাকে। এর ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে কিন্তু এর কোনও প্রতিকারের ব্যবস্থা এখনও বিশ্বভারতীতে নেই। তবে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁকে চিহ্নিত করে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে যাতে সংক্রমণ অন্য লোকজনের শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে।”
একই সঙ্গে তিনি জানান যে, “সাধারণ সর্দি কাশি বা জ্বর হলে মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্কিত হাওয়ার কোনও কারণ নেই। আগে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে তারপরে চিকিৎসকদের রিপোর্ট দেখিয়ে কী রোগ হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।”
বিশ্বভারতী চীনা ভবনের পড়ুয়ারা জানান যে করোনাভাইরাস আতঙ্কের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি মাসে বিনয় ভবনে একটি সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের সকলকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের বলা হয়েছে তাঁরা যাতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন।
বিশ্বভারতী পিয়ারসন হাসপাতালে এই রোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত সকলকে সচেতন করা হচ্ছে ও সবরকম সহায়তা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here