দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃকরোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরবিন্দ মিত্র। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। অরবিন্দবাবুর শরীরে আর কোভিডের প্রকোপ না থাকায় তাঁকে বৃহস্পতিবার ছুটি দিল হাসপাতাল। এদিনই মধ্যগ্রামের বঙ্কিম পল্লীর বাড়িতে ফিরেছেন তিনি।
মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকেই জ্বর-সর্দিতে ভুগতে শুরু করেন এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা। কিন্তু সাধারণ জ্বর ভেবে শুরুতে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। এরপর এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে একদিন মধ্যমগ্রাম বাজারে মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। তাঁর অনুগামীরা তাঁকে নিয়ে যান বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ঘুরে নিয়ে যাওয়া হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সেখানে অরবিন্দবাবুর লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয় এবং কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে।
জানা যায় চেন্নাই থেকে ফেরা এক পরিচিতের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছিলেন এই কাউন্সিলর। তাঁর থেকেই সংক্রামিত হন তিনি। তাঁর পজিটিভ ধরা পড়ার পর পরিবারের লোকজন ও গাড়ির চালককেও বারাসতের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে তাঁর গাড়ির চালকের শরীরেও করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ১৭০টি জেলাকে হটস্পট ঘোষণা করেছে। তারমধ্যে রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা। কাউন্সিলরের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর ১০নম্বর ওয়ার্ড সিল করে দেয় পুলিশ। শুরু হয় বাড়তি নজরদারি। সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছিল। তবে কাউন্সিলরের সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার খবরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল মধ্যমগ্রামে।