দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, সবজি বাজারে টান পড়েছে। কোথাও আবার সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংকে তোয়াক্কা না করে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে যাতে সবজিওয়ালা ও চাষিদের কোনও সমস্যা না হয়, তার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার দুপুরে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক জায়গায় সবজিওয়ালাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কিছু পুলিশ বা সিভিক ভলেন্টিয়ার এই বাধা দিচ্ছে। হয়তো তাঁরা জানেন না বলেই বাধা দিচ্ছেন। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি, সবজিওয়ালা বা সবজি বহণ করে যে মুটেরা তাঁদের বাধা আটকানো যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, সবজির জোগান থাকলে তবেই তো সাধারণ মানুষ তা কিনতে পারবেন। তাই কোথাও যেন তাঁদের আটকানো না হয়। তাঁরা যেন সুষ্ঠুভাবে বেচা-কেনা করতে পারেন। সেই ব্যাপারে পুলিশকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, থানার ওসিদের এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে।
অন্যদিকে চাষিরা যাতে বিনা বাধায় চাষ করতে পারেন সেই নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, চাষিরা মাঠে এক একর জমিতে বড় জোর দু’জন বা তিনজন কাজ করেন। তার মানে ওঁরা অনেক দূরে দূরে থাকেন। এতে কোনও সমস্যা নেই। ওঁদের কাজ করতে দিতে হবে। চাষিদের যেন কোনও সমস্যা না হয় সেদিকেও সংশ্লিষ্ট থানার ওসিদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার অর্থ পরিষ্কার। তা হল, শাক সবজি ও কৃষি পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রির ব্যবস্থা যেন মসৃণ থাকে। কারণ, লক ডাউনে মানুষ এ কথা ভেবেই উৎকন্ঠায় রয়েছেন যে খাবার দাবার ঠিকমতো পাওয়া যাবে কিনা। সরকারের দায়িত্ব হল, সংকটের পরিস্থিতিতে তা সুনিশ্চিত করা। সুপরিকল্পিত ভাবে কাজ করলে এতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
মুখ্যমন্ত্রী বারবার আবেদন করেছেন, সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেজন্য সাধারণ মানুষ যেন বাড়িতেই থাকেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় না বেরোন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বাড়ানোর। সেই অনুরোধ এদিনও ফের করেছেন তিনি।