দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উত্তেজনার চোরা স্রোত বয়ে গিয়েছিল ৪৮ ঘণ্টা আগে। তারপর আবার সব মিলিয়ে গেল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘মহান’ বলে টুইট করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জবাবি টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, “আমরা এক হয়ে করোনার বিরুদ্ধে জিতব।”
মঙ্গলবারই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না পাঠালে ফল ভুগতে হবে ভারতকে। কাকতালীয় ভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে ভারত। এর পরেই মোদীর প্রশংসা শোনা যায় ট্রাম্পের মুখে। এক সংবাদসংস্থাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ভারত থেকে দু’কোটি ৯০ লক্ষ ট্যাবলেট আসছে আমেরিকায়। নরেন্দ্র মোদী মহান, খুবই ভাল মানুষ। এদিন ফের টুইট করে ট্রাম্প বলেন, “এমন এক সময়ে দুই বন্ধুর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়া দরকার। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে ভারত ও ভারতবাসীর সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ। আমরা কৃতজ্ঞ, এই সাহায্যের কথা ভুলব না।”একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, “নরেন্দ্র মোদী শুধু একজন মহান নেতাই নন, এমন সংকটের সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তিনি মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন।”
Fully agree with you President @realDonaldTrump. Times like these bring friends closer. The India-US partnership is stronger than ever.
India shall do everything possible to help humanity's fight against COVID-19.
We shall win this together. https://t.co/0U2xsZNexE
— Narendra Modi (@narendramodi) April 9, 2020
এদিন ট্রাম্পের টুইটের জবাবি টুইটে মোদী লেখেন, “মানবিকতার জন্য ভারতের যতটুকু সামর্থ্য সাহায্য করবে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে জিতব।”
ট্রাম্পের ওই হুঁশিয়ারি আর ওষুধ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সময়ের ফাঁকটাও এত স্বল্প ছিল যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ-সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। কেউ বলেছিলেন, “দেড় মাস আগে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে ট্রাম্পকে নমস্তে বলেছিলেন মোদী, এখন নতমস্তকে তাঁর আদেশ পালন করছেন।” কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বদলা নেওয়ার প্রসঙ্গ আসছে কী করে! ভারত নিশ্চয়ই এই বিপদের সময়ে অন্য দেশের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু আগে তো নিজের দেশ। তারপর অন্য কেউ।”
যদিও ৪৮ ঘণ্টাও লাগল না সেই কূটনৈতিক উত্তেজনার পারদ নামতে। মোদীর প্রতি বিগলিত ট্রাম্প বার্তা দেওয়ার পর একসঙ্গে লড়াইয়ের পাল্টা বার্তা দিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও।