রতন সিনহা,পেট্রাপোল: দেশের সময় এর খবরের জেরঃ করোনার প্রভাব ফেললো এবার আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনেও। বন্ধ হহতে চলেছে পেট্রাপোলে যাত্রী পরিবহন৷

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ১৩ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশের সমস্ত ভিসা বাতিল করা হয়েছে অর্থাৎ এই কয়েক দিনের মধ্যে কোন ভারতীয় বাংলাদেশে যেতে পারবেন না পাশাপাশি কোন বাংলাদেশী এদেশে প্রবেশ করতে পারবেন না, যদিও ইতিমধ্যে যারা বাংলাদেশে চলে গেছেন তারা ফিরে আসতে পারবেন এবং বাংলাদেশ থেকে এদেশে যে সমস্ত যাত্রী এসেছিলেন তাঁরা ফিরে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে হরিদাসপুর অভিবাসন দফতর এর আধিকারিক জয়ন্ত বিশ্বাস৷
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড স্ট্রাফ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন

পরি কাঠামো একেবারে নেই বললেই ভাল হয়৷ স্বাস্থ্য কর্মী সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ঠ নয়৷ একদিকে নিত্য যাত্রীর সংখ্যা কয়েক হাজার ,অন্য দিকে দু’দেশের ট্রাক চালক সহ বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিক সংখ্যাটাও প্রায় পাঁচ হাজার । এই অবস্থায় এইটাই এই মুহুর্তে সবচেয়ে করোনা আতঙ্কের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশা পাশি তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন ভিসা-পাশপোর্ট ছাড়াও কাঁটাতার পেড়িয়ে প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে অনায়াসেই বহু অনুপ্রবেশকারীদের যাতায়াত বেড়েছে বলেও যানা যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই চিকিৎ সার জন্য কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে৷ তাঁদের শরীরে কী ধরনের সংক্রমণ আছে সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন!

যদিও পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে এখনই তেমন কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে তিনি জানান৷ এর ফলে

দু’দেশের যাত্রী পরিবহন এবং মুদ্রা বিনিময় কারীদের ব্যবসার যথেষ্ট ক্ষতি হবে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশের এক যাত্রী অজ্ঞনা বিশ্বাসের কথায় তিনি বাংলাদেশের ঝিনাইদহে থাকেন ভারতে এসেছেন বৃহস্পতিবার চিকিৎসার প্রয়োজনে, ১৫ এপ্রিলের আগেই ফিরবেন দেশে।

আরেক যাত্রী রফিকুল বাড়ি যশোরে, তার কথায় পেট্রাপোলসীমান্তেও যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং চলছে,তার ফলে ব্যাপক সময় লাগছে অভিবাসন দফতরে পার্শপোর্ট ক্লিয়ারিং এর জন্য৷ এদিন সকাল ৭টায় ভারতে প্রবেশ করার পর দুপুর একটা পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় তাঁকে ৷ তবে করোনার মতো সংক্রমণকে রুখতে ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশংসা করেন।
যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ব্যাবস্থায় এই সীমান্তেও থার্মাল স্ক্রিনিং চলছে ,তবে বিশেষ ভাবে লক্ষ্যণীয় পেট্রাপোল – বেনাপোল সীমান্তের স্থল বন্দরের কর্মী এবং শ্রমিকেরা অবাধে যাতায়াত চালিয়ে যাচ্ছেন মাক্স ছাড়াই৷ বেশির ভাগ শ্রমিক ও ট্রাক চালক এবং খালাসিদেরই থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে৷

বেল সূত্রের বর,অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য দু’দেশের মধ্যে রেল পরিষেবাও এই আওতায় পড়তে পারে৷ দেখুন- ভিডিও:

পেট্রাপোল সীমান্তে ছবি- দীপ বিশ্বাস৷

কোভিড-১৯ অসুখকে মহামারী ঘোষণা করার পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে সাধারণের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি হল। শুক্রবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে:

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে হোলি খেলেননি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেছিলেন, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এ বছর হোলি খেলা হবে না রাষ্ট্রপতি ভবনে৷ সেই সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের ট্যুইটারে বলা হয়েছে, ‘করোনা ভাইরাস যাতে না ছড়ায়, আমরা সকলেই সে বিষয়ে সাহায্য করতে পারি ও সচেতন হতে পারি৷ তাই রাষ্ট্রপতি ভবন হোলির আয়োজন করা হচ্ছে না৷’
এবার কোভিড-১৯ অসুখকে মহামারী ঘোষণা করার পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে সাধারণের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি হল। শুক্রবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনও পর্যটক রাষ্ট্রপতি ভবনে যেতে পারবেন না। প্রতিদিনই ঐতিহাসিক রাষ্ট্রপতি ভবনে বহু মানুষ আসেন। কিন্তু এখন দেশে করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে সেই সমাগম চাইছে না রাইসিনা হিলস। একই রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সংসদ ভবনে প্রবেশ নিয়েও। তবে সংসদের অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিশ্ব জুড়ে ত্রাস তৈরি করেছে এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-ও করোনাভাইরাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে। চিনের উহান শহর এই ভাইরাসের উৎসস্থল হলেও ক্রমশ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। ইতালি, ইরান ও অন্যান্য দেশের পাশাপাশি করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছে ভারতেও। ইতিমধ্যেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৩ জন।


করোনা আতঙ্কে এবার বন্ধ হতে চলেছে রাজধানী শহরের স্কুল-কলেজ এবং সিনেমা হল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দিল্লির সমস্ত সিনেমা হল। যেসব কলেজ এবং স্কুলে এখন পরীক্ষা চলছে না সেগুলোও বন্ধ রাখা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here