দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃভারতে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে কোভিড ১৯ সংক্রমণ রুখতে বাড়িতে একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই সংক্রমণ সবথেকে কম হয়। তাই বাড়িতে এসি চালানোর ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে একটি অ্যাডভাইজরি দিয়ে জানানো হয়েছে এসির আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ হওয়া উচিত। এই গাইডলাইন ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হিটিং রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার ইঞ্জিনিয়ার্সদের সঙ্গে মিলে তৈরি করা হয়েছে। সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট এই গাইডলাইন ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করেছে।
এই অ্যাডভাইজরি তৈরি করার ক্ষেত্রে একটা টাস্ক ফোর্স কাজ করেছে। এই টাস্ক ফোর্সের আওতায় বিভিন্ন ধরনের বিশেষজ্ঞদের রাখা হয়েছে যাঁরা কোভিড ১৯ সংক্রমণ রুখতে কী ধরনের তাপমাত্রা ও আবহাওয়া আদর্শ, সেটা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারপর তাঁদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই এই অ্যাডভাইজরি বানিয়েছে কেন্দ্র।
অ্যাডভাইজরিতে লেখা রয়েছে, “বাড়িতে এসি চালালেও জানলা অল্প করে খুলে রাখুন। তাহলে ভিতরে ঠান্ডা হাওয়ার সার্কুলেশনের সঙ্গে বাইরের হাওয়াও কিছুটা ঢুকবে। ভিতরের হাওয়াও কিছুটা বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ হবে। এই বায়ু চলাচল খুবই দরকার। আপেক্ষিক আর্দ্রতা যেন কখনও ৪০ শতাংশের নীচে না নামে।”
যখন ঘরে এসি চলছে না তখনও যেন ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকে, এমনটাই জানানো হয়েছে এই গাইডলাইনে। ফ্যান চালানোর সময়ও জানলা হালকা করে খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ তাহলেই বায়ু চলাচল ভাল করে হবে। ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ কম পাবে। বদ্ধ ঘরে এই ভাইরাস ছড়ানো অনেক সহজ বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
লকডাউনের ফলে অফিস ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অনেক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে সেখানে কাজ শুরু করার আগে এয়ার সার্কুলেশন ভাল করে করা উচিত বলে জানানো হয়েছে। এই অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছে, “বদ্ধ জায়গায় ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গাস অনেক দ্রুত কাজ করে। তাই যেসব অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে, সেখানে আগে দরজা-জানলা খুলে ও ফ্যান-এসি চালিয়ে এয়ার সার্কুলেশন ঠিক করে নিতে হবে। তবেই বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে ভিতরের তাপমাত্রার একটা সামঞ্জস্য তৈরি হবে। এই আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার সঙ্গে সংক্রমণের একটা যোগাযোগ রয়েছে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক কমবে।”