

পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর অবশেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য হল। গত ১২ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন। সেই প্রতীক্ষিত রায় আগামীকাল, অর্থাৎ বুধবার ঘোষণা করা হবে।

২০১৬ সালে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে এবং পুরো প্যানেল বাতিল করে হাইকোর্ট, যা পরে সুপ্রিম কোর্টেও বহাল থাকে। এরপর একই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়।

২০২২ সালে (উল্লিখিত ২০২৩ সালে) তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতির অভিযোগে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি নির্দেশ দেন, চাকরি বাতিল হলেও এই শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, যেখানে যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি বহাল থাকবে।

একক বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে যায়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্জের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে, তবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ বহাল রাখে।

এই দুই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য ও পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে গেলে শীর্ষ আদালত মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত পাঠায়। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমারের ডিভিশন বেঞ্চকে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে রায় দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দু’দফায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রথমে ৪২,৯৪৯ জন এবং পরে ১৬,৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ পান। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, এই প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যদিও পর্ষদ দাবি করেছিল, কিছু অনিয়ম হলেও তা সংশোধন করা হয়েছে।




