দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : এ বার দুর্গাপুজোয় প্যান্ডেল খোলামেলা করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার করোনা সংকট মোকাবিলায় রাজ্য সরকার গঠিত গ্লোবাল পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকের পর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কমিটির সদস্যরা পুজো নিয়ে একটা ‘ভাল’ পরামর্শ দিয়েছে। তাঁরা বলেছেন, এমনিতে রাজ্যে কোভিড মোকাবিলা খুবই সন্তোষজনক হচ্ছে। কিন্তু সামনে পুজো আসছে। পুজোটা বাংলায় বড় চ্যালেঞ্জ। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ওঁরা বলেছেন, পুজো প্যান্ডেল খোলা রাখতে। যাতে হাওয়া বাতাস ঢোকে। বদ্ধ না থাকে। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে সুবিধা হবে। জীবাণু থাকলে বেরিয়ে যাবে।”
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল– ঢাকা প্যান্ডেল বানিয়ে ভিতরে শুধু ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখলে চলবে না। তা পর্যাপ্ত নয়। প্যান্ডেল খোলামেলা হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেন, তার মানে সবটা খোলা থাকবে এমন নয়। যেখানে দুর্গা প্রতিমা থাকবে সেই জায়গাটা তো ঢাকাই থাকবে। কিন্তু মানুষ যেখানে দাঁড়িয়ে অঞ্জলি দেবেন, যেখানে দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখবেন সেই জায়গাটা খোলা রাখতে হবে।
প্রতিবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে একবার নেতাজি ইনডোরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এখনও তা হয়নি। সম্ভবত ২৫ সেপ্টেম্বর হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এ দিন যা বলেছেন, তাতে পরিষ্কার যে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে পুজো কমিটিগুলোকে এখন থেকেই বলে দেওয়া হবে যে প্যান্ডেল খোলামেলাই রাখতে হবে।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী, সুকুমার মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জেভি আর প্রসাদর রাও প্রমুখ। এ ছাড়া মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা ও স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই পরিষ্কার যে এবার রাজ্যে পুজোতে বিশেষ বাধা দেবে না সরকার। তবে হ্যাঁ স্বাস্থ্যবিধি ও কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। মমতা বলেন, বাংলায় দুর্গাপুজো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। ক্লাব, আবাসন, জেলা, শহর, ব্লক মিলিয়ে লক্ষাধিকের উপর পুজো হয়। বাঙালির বড় মিলন উৎসব এটি। শুধু মনে রাখতে হবে নিজেদের স্বার্থেই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে।