দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার সকাল হতেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল খবরটা। পুলিশ এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনের।
এরপর থেকেই উৎসবের মেজাজ বিভিন্ন রাজ্যে। হায়দরাবাদ পুলিশকে কুর্নিশ জানিয়েছেন কেউ। কেউবা সাবাশি জানিয়ে হাতে রাখি বেঁধেছেন পুলিশকর্তাদের। সাইবারাবাদের বর্তমান পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানারকে অনেকেই বলছেন ‘আমাদের সিংহম’। এনকাউন্টারের ঘটনাস্থলে পুলিশকর্তাদের উপর ফুলের বৃষ্টিও করছেন স্থানীয়রা। মিষ্টি বিলি থেকে বাজি ফাটানো, খুশির আবহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এরপর এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার। খোলসা করে জানান ঠিক হয়েছিল শুক্রবার সকালে।
এক নজরে : ঠিক কী কী হয়েছিল শুক্রবারের এনকাউন্টারে- (পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে)
১। পুলিশ কমিশনার সাজ্জানারের কথায়, ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে গত ২৭ নভেম্বর যে এলাকায় হায়দরাবাদের ওই তরুণী পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করা হয়েছিল সেখানে অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয়।
২। ১০ পুলিশকর্মী চারজন অভিযুক্তকে নিয়ে যান ঘটনাস্থলে।
৩। পুলিশের দাবি, আচমকাই তাঁদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা।
৪। বারবার সতর্ক করার পরেও কোনও কথা শোনেনি অভিযুক্তরা। আত্মসমর্পণ করার কথাও বলে পুলিশ। তবে সেসবও কানে নেয়নি তারা।
৫। পুলিশের অভিযোগ, এরপর আচমকাই তাদের দিকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে অভিযুক্তরা। তারা ইটবৃষ্টি করেও বলেও অভিযোগ।
৬। পুলিশের দাবি, সেইসময় আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় তারা।
৭। এই ঘটনায় জখম হন দুই পুলিশকর্মী অরবিন্দ গৌর এবং ভেঙ্কটেশ্বর।
৮। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, মোবাইল, ঘড়ি এবং পাওয়ার ব্যাঙ্ক।
৯। পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তরা হায়দরাবাদের এই ধর্ষণকাণ্ড ছাড়াও একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।