দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: এই ক’দিন আগেই কলকাতা পদযাত্রা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঁথি মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের স্লোগান ছিল– ‘বাংলায় এনআরসি হতে দেব না।’ শুধু কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলাই নয়, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন মমতা। কিন্তু বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এনআরসি ইস্যুতে একেবারেই নরম মনোভাব দেখালেন তৃণমূলনেত্রী। শুধু নরম মনোভাবই নয়, কার্যত উল্টো সুরেই কথা বললেন তিনি। এতদিন বাংলায় এনআরসি নিয়ে সরব মমতা এদিন বললেন, ওটা অসমের ব্যাপার।
নরেন্দ্র মোদীর পরে অমিত শাহ। এবার বিজেপি সভাপতির সঙ্গেও বৈঠক করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মমতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন। আর আলোচনায় যে তিনি খুশি তা এদিন বৈঠক থেকে বের হয়েই সাংবাদিকদের সামনে বলেন তিনি। আর শুধু মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেই যে তিনি খুশি থাকতে চান না সেটা বুঝিয়ে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে চান। এর জন্য শাহর কাছে তিনি সময় চাইবেন।
দ্বিতীয় বার মোদী সরকার ক্ষমতায় এলে শপথগ্রহণ দূরের কথা মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক কিংবা নীতি আয়োগের সভা সবেতেই গরহাজির থেকেছেন মমতা। রাজনৈতিক ভাবে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহকে আক্রমণের ক্ষেত্রে দেশে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের মধ্যে তিনিই সব থেকে বেশি সরব। সেই মমতাই এবার বৈঠক করতে চাইছেন অমিত শাহের সঙ্গে। শাহ সময় দিলে বৃহস্পতিবারই অমিত-মমতা সাক্ষাৎ হতে পারে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সম্ভাব্য সাক্ষাৎকে আনুষ্ঠানিক এবং সৌজন্যমূলক বলে দাবি করা হয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘এটি একটা চেয়ারের সঙ্গে একটি চেয়ারের বৈঠক।
এদিন মমতা বলেন, অতীতে তিনি যখনই দিল্লি আসেন তখনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এবারও তিনি সেটাই চাইছেন। তিনি এদিনই অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাইবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে রাজ্যের নাম বদল থেকে কেন্দ্রের থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ পাওনা টাকা নিয়ে কথা বলবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে তিনি কোন বিষয়ে কথা বলতে চান সে ব্যাপারে কোনও ইঙ্গিত দেননি তৃণমূলনেত্রী। এই সময়ের নিরিখে এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।