দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত ২০ জুলাই নবান্নের পক্ষে সব ব্যাঙ্ককে জানানো হয়, মাসের সব শনি ও রবিবার বন্ধ রাখতে হবে সব শাখা। সেই নির্দেশ থেকে এবার সরে এল নবান্ন। জানানো হল, আগের মতোই শুধুমাত্র দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার বন্ধ থাকবে সব ব্যাঙ্ক। বাকি শনিবার ব্যাঙ্কের পরিষেবা চলবে।
শুক্রবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, “গত ২০ জুলাই একটি নির্দেশিকায় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল মাসের প্রতি শনি ও রবিবার রাজ্যের সব ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধ থাকবে। কিন্তু বর্তমানে সংক্রমণের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে একাধিক পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেইমতো কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে রাজ্যের প্রতিটি ব্যাঙ্কের শাখা আগের মতো মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার এবং যদি কোনও শনিবার হলিডে হয় তাহলে সেদিন বন্ধ থাকবে। বাকি শনিবারে ব্যাঙ্কের পরিষেবা দেওয়া হবে।”
এমনিতে সব রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলেও সপ্তাহের প্রথম, তৃতীয় শনিবার ব্যাঙ্কে পরিষেবা মেলে। কোনও মাসে পঞ্চম শনিবার থাকলে সেদিনও ব্যাঙ্ক খোলা থাকে। কিন্তু জুলাই মাসে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সরকার নির্দেশ দেয়, ব্যাঙ্কে গ্রাহক পরিষেবার সময় কমিয়ে দেওয়া হোক। ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হয়েছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়া যাবে।
নতুন নির্দেশিকায় দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার বাদে বাকি শনিবার পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা হলেও ব্যাঙ্কের পরিষেবার সময় নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ আগের মতো সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্তই গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়া হবে ব্যাঙ্কে।
উল্লেখ্য, লকডাউনেও বন্ধ হয়নি ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। বহু ব্যাঙ্ক কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। সে শাখায় কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সেই শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ক্রমাগত এই সংক্রমণ ছড়ানোয় ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের অনেক ক্ষোভও ছিল। এমনই কয়েকটি সংগঠনের রাজ্য শাখার প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন যাতে, করোনা পরিস্থিতিতে সপ্তাহে পাঁচদিন ব্যাঙ্ক খোলা রাখা হোক।
বাকি দু’দিন স্যানিটাইজেশন করা হোক। সেই দাবিকে তখন মান্যতা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু বর্তমানে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সুস্থতার হার ৮০ শতাংশের বেশি। তাই এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা কিছুটা স্বাভাবিক করতে সেই সিদ্ধান্ত বদল করল সরকার।