দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলের প্রতীকে একুশের ভোটের ময়দানে নেমে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন টলি পাড়ার অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু, নির্বাচনী লড়াইয়ে হেরে গিয়েছেন সায়নী। কিন্তু, তাঁর ‘লড়াকু’ মনোভাবকে সামনে রেখে এবার তৃণমূলে বড় দায়িত্ব দেওয়া হল সায়নীকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় তৃণমূল যুব সভাপতি পদে দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হল সায়নীর হাতে। তৃণমূল যুব সভাপতি হওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সায়নী।
অভিষেক প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে সায়নী বললেন, ”ওঁকে সবসময় যুবরাজ বলা হয়। এবারের নির্বাচনে জয়ের নেপথ্যে অভিষেকের অবদান রয়েছে। উনি মানুষের মধ্যে থেকে কাজ করেছেন। ওঁর আরও বড় দায়িত্ব। ওঁকে অনেক শুভেচ্ছা। আমি কৃতজ্ঞ যে, ওঁর জায়গা আমাকে দেওয়া হয়েছে।’ সায়নী আরও বলেন, ‘২০২৪ সালে আরও বড় খেলা হবে। দিদি গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। সেই দায়িত্ব পালন করব’। সায়নী আরও বলেন, ‘গুরুদায়িত্ব এটা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। দিদি বলেছেন, এটা অনেক বড় দায়িত্ব। মনে প্রাণে করতে হবে’।
তৃণমূলে বড়সড় রদবদল ঘটল! একুশের জয়ের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কার্যত তৃণমূলের ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’ পদে অভিষেক। শনিবার তৃণমূল যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তৃণমূল যুব সভাপতি করা হল সায়নী ঘোষকে ।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের নেপথ্যে অভিষেক অন্যতম কাণ্ডারী বলে মনে করে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বড় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিষেককে। এমনকী, নির্বাচনী প্রচারে অভিষেককে নিশানা করেছেন মোদী-শাহরাও। একুশের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেককে যে দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।