দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনার ৫ বিজেপি বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এ বার গ্রুপ ত্যাগ করলেন বাঁকুড়ার চার বিধায়ক। এঁরা হলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এবং ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়া।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ,সম্প্রতি বিজেপি-র নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার এই কমিটিতে ঠাঁই হয়নি কোনও মতুয়া প্রতিনিধির। এই অভিযোগে বিজেপি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে সম্প্রতি বেরিয়ে যান ওই জেলার পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। এঁরা হলেন গাইঘাটায় বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। ঘটনাচক্রে, তাঁরা সবাই মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত।
এর পরই ফের প্রকাশ্যে এল বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কদের গ্রুপ-ত্যাগের ঘটনা। সোমবারই রাজ্যে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ এসেছেন। নতুন জেলা কমিটি এবং নতুন জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। তার ঠিক আগে এমন ঘটনা যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
অশোক কীর্তনিয়াদের গ্রুপ ছাড়ার ঘটনার ‘নির্দিষ্ট কারণ’ জানা গেলেও বাঁকুড়ার বিধায়কদের গ্রুপ ছাড়়ার ঘটনা নিয়ে অনেকগুলি তত্ত্ব সামনে উঠে আসছে। দলের একাংশের বক্তব্য, বাঁকুড়ার এই ৫ বিধায়ক শান্তনুদের মতো বিজেপি-র বিধায়কদের গ্রুপ নাকি ছাড়েননি। তাঁরা ছেড়েছেন ‘সোশাল মিডিয়া গ্রুপ’। যেখানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিজেপি সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে দলীয় বিধায়ক কর্মীদের অবহিত করা হয় বলে দাবি। আবার জেলা বিজেপি-রই অন্য এক সূত্রের বক্তব্য, বাঁকুড়ার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসাবে যাঁকে আনা হয়েছে, তাঁকে নিয়ে দলের অনেকের ‘আপত্তি’ রয়েছে। সেই কারণেই হয়তো ওই চার বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন।
ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়া অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘ফোনের সমস্যার জন্য ওই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি।’’ কিন্তু সমস্যা না হলে অন্য তিন বিধায়ক কেন একই সময়ে ওই গ্রুপ ছাড়লেন? নির্মলের বক্তব্য, ‘‘তা আমি বলতে পারব না। ওঁদেরই জিজ্ঞাসা করুন।’’