দেশের সময় কলকাতাডেস্কঃ গোলাপি বলের টেস্টে নজির গড়ল ভারত। ইশাম্ত–উমেশ–সামির তাণ্ডবে ফের তৃতীয় দিনেই ধরাশায়ী বাংলাদেশ।শনিবার ভারত ডিক্লেয়ার করার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, খেলা তৃতীয় দিন পর্যন্ত গড়াবে তো? ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ১৩ রানে চারটি উইকেট খুইয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর যেভাবে দাঁতে দাত চেপে লড়লেন মুশফিকুর, তাতে খেলা গড়াল তৃতীয় দিনে।
রবিবার খেলা শুরুর পর তৃতীয় দিনে মাত্র ৪৫ মিনিট লাগল বাংলাদেশের বাকি তিন উইকেট ফেলতে। মেহমুদুল্লাহ রিয়াধ হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় আর নামেননি খেলতে। ইনিংস ও ৪৬ রানে জিতল বিরাট কোহলির দল।
আগের দিন অপরাজিত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর কাঁধেই ছিল দলকে ইনিংসে হারের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব। তৃতীয় দিন শুরুও করেছিলেন সেভাবেই। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে কোনও সাহায্য পেলেন না মুশফিকুর। শেষ পর্যন্ত বড় শট মারতে গিয়ে উমেশের বলে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭৪ রানে ফিরে যান তিনি। বাকিরা কেউ দাঁড়াতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৪১.১ ওভারেই ১৯৫ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
ইডেন টেস্টে দাপট দেখালেন পেস বোলাররা। ১৯টি উইকেটই নিলেন তাঁরা। এর আগে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০টি উইকেটই এসেছিল পেসারদের দখলে। ইডেনেই ২০১৭-১৮ সিরিজে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। সেই টেস্টেও একটিও উইকেট পাননি স্পিনাররা। ফের সেই ছবি দেখা গেল।
এদিনের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে টানা সাত টেস্ট ম্যাচ জিতল কোহলির ভারত। টেস্ট ইতিহাসে এটাই ভারতের সবথেকে সফল পর্যায় চলছে। সেইসঙ্গে পরপর চারটি টেস্ট ইনিংসে জিতলেন কোহলিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ দুই টেস্ট ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি টেস্টই ইনিংসে জিতেছেন বিরাটরা। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই প্রথম।
এই টেস্ট জয়ের সঙ্গে টেস্ট জয়ী অধিনায়কদের তালিকায় অ্যালান বর্ডারকে ( ৩২ ) টপকালেন কোহলি ( ৩৩ )। তাঁর সামনে এখন রয়েছেন গ্রেম স্মিথ ( ৫৩ ), রিকি পন্টিং ( ৪৮ ), স্টিভ ওয় ( ৪৩ ) ও ক্লাইভ লয়েড ( ৩৬ )। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টানা তিনটি সিরিজ জিতল ভারত। ৩৬০ পয়েন্ট নিয়ে সবার থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন কোহলিরা।
এরপর টেস্ট ক্রিকেটে বেশ কিছুদিনের গ্যাপের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে ভারত। সেখানেই হবে বিরাটদের আসল পরীক্ষা।