দেশের সময়: বসিরহাট: জানালা খুললেই ইছামতীর হাতছানি। ঢেউয়ের শব্দ শোনা যায়। জোয়ার এলে ভরা ইছামতীর রূপ বদলে যায়। প্রকৃতি আর নির্জনতার মিশেলে একটা অন্য রকম পরিবেশ। বসিরহাটের নৈহাটি গ্রাম। সেখানেই ইটিন্ডা রোডের ওপর রয়েছে ৩ তলা বাড়ি। হালকা নীল রঙের প্রলেপ পড়েছে।
বসিরহাটে ইছামতী সেতু পেরিয়ে এক কিলোমিটার এলেই নৈহাটি। বাড়ির উত্তর দিক দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতী নদী। নদীরপাড় থেকে দেবব্রত বাবুদের বাড়ির দূরত্ব ৫০–৬০ গজ। নারকেল, সুপারি, পেয়ারা, আম গাছে ঘেরা। নিচের তলায় গাড়ি রাখার জায়গা। বাইরে সিঁড়ি উঠে গেছে। দোতলায় দলের নির্বাচনী কার্যালয়। ৩ তলায় ৪টি ঘর। একটি কনফারেন্স রুম। ৩ তলায় থাকবেন বসিরহাটের তৃণমূলের অভিনেত্রী প্রার্থী নুসরত জাহান।
ভোটের প্রচারে একাধিকবার এসেছেন তিনি, শুধু আসেননি, নদীপথে প্রচারও করেছেন। এখানকার মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তৃণমূলের অভিনেত্রী প্রার্থী নুসরত জাহান। কিন্তু কোথায় থাকবেন তিনি? এই প্রশ্নই বেশ কিছুদিন ধরে ভাবিয়ে তুলেছিল বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীদের। অভিনেত্রীর নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশ্রামের জন্য উপযুক্ত ঘর খুঁজতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন তাঁরা। দেবব্রত বাবুর বাড়িই এখন তাঁর ঠিকানা।
বাড়ির লোকেশন দেখে নুসরতও উৎফুল্ল।’ তঁার প্রতিক্রিয়া, ‘দারুণ জায়গাটা। সারিদিন প্রচার সেরে এখানে এলে মন ভাল হয়ে যাবে।’ নুসরত নিজের কেন্দ্রে প্রচার শুরু করেছেন ২৩ মার্চ সন্দেশখালি থেকে। পরদিন হিঙ্গলগঞ্জ। প্রথম দু’দিনেই বসিরহাট লোকসভার অধীন ৭ বিধানসভা ঘুরেছেন পাম অ্যাভিনিউর বাড়ি থেকে। পরে দফা ৫ এপ্রিল। বসিরহাট কেন্দ্রের এমনই জটিল ভৌগোলিক অবস্থান, যেখানে একই সঙ্গে সুন্দরবন, বাংলাদেশ সীমান্ত।
মাকড়সার জালের মতো নদী দিয়ে ঘেরা। ১৮৬১টি বুথ। এখন তো প্রাথমিক পর্যায়ে নুসরতের প্রচার চলছে। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে, প্রচার আরও ঠাসা হবে। তখন কলকাতা থেকে এসে প্রচার সেরে ফিরে যাওয়ার ধকল বাড়বে অভিনেত্রী প্রার্থীর। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের আহ্বায়ক ফিরোজ কামাল গাজি বলেন, ‘সব বুথে সম্ভব না হলে ৩টে পুরসভা ও ৯০টি পঞ্চায়েতেই আমরা প্রার্থীকে নিয়ে যেতে চাই। ফলে টানা প্রচার করতে হবে।
সেক্ষেত্রে কলকাতা থেকে প্রতিদিন এসে প্রচার করা কঠিন। সেইজন্য প্রার্থীকে ভোট পর্যন্ত থাকতে হবে। বিভিন্ন সভায় নুসরত বলছেন, ‘আমি এখান থেকে জিতে আর আসব না, এ রকম ভাবার কোনও কারণ নেই। এখানে আমি অফিস করব। আর গ্রামের মানুষের কাছে থেকে তাঁদের কাজ করতে চাই৷