দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ টানা সাত ঘণ্টার বৈঠক। কিন্তু তাতেও রফাসূত্র মিলল না। কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় রইলেন কৃষকরা। যদিও কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর বলেন, ‘কেন্দ্রের কোনও ইগো নেই।’ আলোচনা চলবে। আপাতত আবার ৫ ডিসেম্বর বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুপক্ষ। তবে, কৃষক প্রতিনিধিরা সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবিতে এখনও অনড় এবং তা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গতকালই কৃষক নেতা গুরনাম সিং চন্দোনির বক্তব্য, ‘কেন্দ্রে এই আইন প্রত্যাহারে নারাজ হলে, আগামী দিনগুলিতে দাবি আদায়ে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’ সাংবাদিক বৈঠকের আগে কৃষক সংগঠনের নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেছিলেন। সেখানে ৩২টি সংগঠনের নেতারা ছিলেন। সিঙ্ঘু বর্ডারে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইতও উপস্থিত ছিলেন।
সমাধান সূত্র খুঁজতে এর আগে মঙ্গলবারও কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সেই বৈঠকও নিষ্ফলাই থাকে। এদিনের বৈঠকও তাই। নয়া কৃষি আইন পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী যে নতুন প্যানেল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাও কৃষক নেতারা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এমত অবস্থা কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে কৃষকদের ঠিক কী কথা হয়েছে, তার বিশদ জানতে চেয়েছিলেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও সেই বৈঠকে যোগ দেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল৷
দেখতে দেখতে বৃহস্পতিবার আট দিনে পড়ল কৃষকদের এই আন্দোলন। হরিয়ানার কৃষকরাও আন্দোলনে শামিল হন। দিল্লি চলো অভিযানে সাড়া দিয়ে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের কৃষকরাও শামিল হয়েছেন এই আন্দোলনে। শুধু দিল্লির বিভিন্ন বর্ডারে নয়, বুধবার থেকে দিল্লি-গাজিপুর বর্ডারেও গবাদিপশু নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কৃষকরা। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সহ একাধিক দাবি আদায়ে কৃষকরা অনড়। আন্দোলনরত কৃষকদের কোভিড গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেফতার করে, শহরের ৯টি স্টেডিয়ামে রাখতে চেয়েছিল কেন্দ্র। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই প্রস্তাব গেলে, তিনি পত্রপাঠ তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাতেই খেপেছে কেন্দ্র। আশা করা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার হয়ত কোনও সমাধানসূত্র বেরোলেও বেরোতে পারে, কিন্তু বাস্তবে তা হল না৷