দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে বাহিনীরগুলিতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। নরেন্দ্র মোদী গতকাল বলেছিলেন, দিদির উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত। এটা গণহত্যা হয়েছে। রবিবার নদিয়ার শান্তিপুরে রোড শো শেষে অমিত শাহ নিশানা করলেন মমতাকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এই দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু নিয়েও মমতাদিদি তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছেন।
এদিন শান্তিপুরে বিজেপির রোড শো শেষ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন শাহ। সেখানে তিনি বলেন, “চতুর্থ দফার ভোটে বাংলায় দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু তো দুঃখজনক বটেই। সেইসঙ্গে আরও বেশি দুঃখজনক তা নিয়ে রাজনীতি করা। এখানেও মমতাদিদি তুষ্টিকরণ ও ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন!”
শাহ বলেন, “শীতলকুচি বিধানসভার একটি বুথে কিছু লোক সিআইএসএফ জওয়ানদের অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে যায় এবং তাঁরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান। এর ফলে চার জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ খুবই দুঃখের। কিন্তু ওই বুথেই শনিবার সকালে আনন্দ বর্ধন নামের এক রাজবংশী যুবককে গুণ্ডারা খুন করেছে। ভোটদানে বাধা দিতে গিয়ে তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু দিদি চার জনের প্রতিই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। রাজবংশী আনন্দর জন্য চোখের জলও ফেলেননি, একটা বাক্যও খরচ করেননি। এটাই তুষ্টিকরণ আর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি। যা করে করে বাংলাকে নীচের দিকে নামিয়ে দিয়েছেন মমতা।”
প্রসঙ্গত, বাহিনীর গুলিতে যে চারজন মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে হামিদুল ও মনিরুলের পরিবারের সঙ্গে এদিন ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে এদিন রাজ্য সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহিনীরগুলিতে নিহত চারজনের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য করবে। আহতদের দেওয়া হবে দু’লক্ষ টাকা।
মমতা যে ভাবে অমিত শাহের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন, এদিন তার পাল্টা হিসেবেই দিদির বিরুদ্ধে মৃত্যু নিয়ে তুষ্টিকরণের তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেছেন, শীতলকুচি থেকেই মমতা বলেছিলেন, বাহিনীর জওয়ানদের ঘিরে রাখতে, মারতে। তাঁর বক্তব্যই এমন ঘটনায় গ্রামবাসীদের ইন্ধন যুগিয়েছিল।