দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশে দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে লগ্নিকারীদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে অন্য মুদ্রার তুলনায় শক্তি সঞ্চয় করল মার্কিন ডলার। যার প্রভাবে বাজারে নিম্নমুখী সোনা ও রুপোর দাম। আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ভারতের ঘরোয়া বাজারেও ওই একই ছবি ধরা পড়ল।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ইউরোপ ও আমেরিকা। শীতের আগে সংক্রমণের ঘটনা বহুগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য এই সংক্রমণের স্রোত ঠেকাতে বুধবার থেকে ফ্রান্স ও জার্মানিতে ফের লকডাউন জারি হয়েছে। এদিকে, করোনার প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নতুন করে ১.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ত্রাণ প্যাকেজের সম্ভাবনা ক্রমশ ফিকে হচ্ছে। আর এই সমস্ত কিছুর প্রভাবে তেজিভাব দেখা যায় মার্কিন ডলারের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে দাম বাড়তে থাকে মার্কিন মুদ্রার। আর যার ফলে সোনার দাম পড়তে থাকে।
বৃহস্পতিবার দিনের প্রারম্ভিক বেচাকেনায় ভারতের মাল্টি-কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সোনার ডিসেম্বর ফিউচার মূল্য ০.১৬ শতাংশ বা ৮৩ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ফলে ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৫০,৪১২ টাকা। অন্যদিকে, রুপোর ডিসেম্বর ফিউচার দাম কমেছে ০.১১ শতাংশ বা ৬৭ টাকা। ফলে প্রতি কিলো রুপোলি ধাতুর দাম দাঁড়িয়েছে ৬০,০৭১ টাকা৷
টাকার মূল্য পড়ে যাওয়ায় স্পট মার্কেটে বুধবার সোনার দাম বেড়েছিল। দিল্লিতে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ১৮৮ টাকা বেড়ে হয়েছিল ৫১,২২০ টাকা। অন্যদিকে, রুপোর দাম প্রতি কিলোয় ৩৪২ টাকা বৃদ্ধি পায়।
আন্তর্জাতিক বাজারেও স্পট গোল্ডের দাম সামান্য কমেছে। বেচাকেনায় সোনার স্পট মূল্য ১.৭১ শতাংশ হ্রাস পায়। ফলে প্রতি আউন্স সোনার দর দাঁড়ায় ১,৮৭৯.২০ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, রুপোর দাম কমেছে ৪.৯২ শতাংশ। ফলে প্রতি আউন্সে এর দর দাঁড়িয়েছে ২৩.৩৬ মার্কিন ডলার।