দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছিল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সঙ্গে কোথাও কোথাও দাপট দেখিয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। কোথাও বা হয়েছে শিলাবৃষ্টি। ভারী বৃষ্টিতে জল জমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল কলকাতার একাধিক অংশে। বুধবারও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। সঙ্গে বইবে দমকা হাওয়া।
আলিপুর আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল বুধবার থেকে বাড়বে বৃষ্টির দাপট। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি দার্জিলিং-সহ উত্তরের পাঁচ জেলাতেও চলবে বৃষ্টি। বুধবার সকাল থেকেই আংশিক মেঘলা রয়েছে আকাশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গুমোট গরমও। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ৬.২ মিলিমিটার। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গোটা রাজ্যেই। বইবে ঝোড়ো হাওয়াও।
কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ। মঙ্গলবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি কম। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি কম। আবহবিদরা জানিয়েছেন, বুধবার সারাদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার কারণে গরম কিছুটা কম অনুভূত হতে পারে। তবে বৃষ্টির জেরে রাতের দিকে শিরশিরানি অনুভব হলেও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং পুবালি হাওয়ার সংঘর্ষ, তার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে তৈরি হওয়া বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত—-এই সবের জেরেই হবে বৃষ্টি। মূলত এটা প্রি-মনসুনের বর্ষণ। তাই একটানা বৃষ্টি হবে এমনটা নয়। বিক্ষিপ্তভাবেই বৃষ্টি হবে গোটা রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি নাও হতে পারে। তবে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় ভারী বৃষ্টি হবে। শহর কলকাতাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম দুই চব্বিশপরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি এইসব জেলায় শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।