দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বুধবারও রাজ্যে নতুন সংক্রামিতের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেই জানালেন, “আগামী ১৫ দিন বাংলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ খুব বাড়তে পারে”।
মমতার কথায়, “আমি কাউকে ভয় দেখাচ্ছি না। সতর্ক করছি। নিজেরা নিজেদের যত্ন নিন। আমরা যতটা পারব করছি। কেউ অকারণে রাস্তায় বেরোবেন না। বাসে গাদাগাদি করে উঠবেন না”।
রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিনও রিভিউ মিটিং করেন। সেই বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন সমস্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হবে।
স্নাতকোত্তর স্তরে ডাক্তারি পড়ুয়াদের কোভিড মোকাবিলায় কাজে লাগানো হবে। সেই সঙ্গে কোয়াক ডাক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সাথীর মতো মর্যাদা দিয়ে কোভিড মোকাবিলায় লাগানো হবে।
এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে বলব প্লিজ মাস্কটা ভাল করে পরুন। সবাইকে বলুন যেন মাস্ক ঠিক ঠাক করে পরে থাকে। এমন ভাবে মাস্ক পরবেন না যে নাক বেরিয়ে থাকে। কারণ, কেউ বলছে যে করোনা ভাইরাস এয়ারবোর্ন। বাতাসে ভাইরাস ভাসছে। আরও অনেকে অনেক কিছু বলছে। তাই সাবধান থাকা বাঞ্ছনীয়। কারও শরীর খারাপ লাগলেই ডাক্তার দেখাতে হবে। আর সিটি ভ্যালু খেয়াল রাখতে হবে। সিটি ভ্যালু কম হলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। তাদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে ডাক্তারদের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার কোভিডে তরুণরা বেশি করে আক্রান্ত হচ্ছেন। গোটা দেশে দেখা যাচ্ছে ৩০, ৩৫ ৪০ বছর বয়সিদের করোনা হচ্ছে। মারাও যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “গতকাল কলকাতা পুলিশ হাসপাতাল ও শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি। দেখা যাচ্ছে, এবার ঝড়টা সকালের দিকে বেশি আসছে। ঝড়টা আসার আগেই রোগীদের স্টেরয়েড দেওয়া যায় কিনা তা ডাক্তারদের দেখতে বলেছি।” মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত কোভিড রোগীর শরীরে সাইটোকিন স্টর্মের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে অনেক কোভিড রোগীকে স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এবং এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে পুজো কমিটিগুলির ফোরাম, পোস্তা বাজার কমিটি এবং সর্বধর্ম বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল ৩ টে নাগাদ ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠক হবে।