দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী শীতে ব্যাপক বাড়তে পারে করোনা রোগীর সংখ্যা। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) থেকে শুক্রবার এভাবেই সতর্ক করা হল দিল্লি সরকারকে। দিল্লিতে প্রতি বছর শীতে অনেকে শ্বাসকষ্টে ভোগেন। তার ওপরে উৎসবের সময়ে বাইরে থেকে অনেকে আসবেন রাজধানীতে। আগামী শীতে প্রতিদিন ১৫ হাজার মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হবেন ধরে নিয়ে প্রস্তুত হতে হবে দিল্লিকে।
নীতি আয়োগের সদস্য তথা চিকিৎসক ভি কে পালের নেতৃত্বে একটি এক্সপার্ট গ্রুপ গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার নির্দেশেই দিল্লি সরকারকে সতর্ক করেছে এনসিডিসি। তারা বলেছে, আক্রান্তদের এক পঞ্চমাংশের দেহে সংক্রমণ হবে মাঝারি বা গুরুতর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। দিল্লি সরকার যেন সেজন্য প্রস্তুত থাকে।
এনসিডিসি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, দিল্লিতে কোভিডে মৃত্যুর হার ১.৯ শতাংশ। তা জাতীয় গড়ের থেকে বেশি। দেশে কোভিডে মৃত্যুর হার ১.৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার কমলে তবেই বলা যায় অতিমহামারী নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুসারে আজ ৯ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৬৯,০৬,১৫১। এখনও পর্যন্ত সংক্রমণে দেশে মৃত্যু হয়েছে ১,০৬,৪৯০ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৯,০৬,০৬৯ জন। ভারতে এখন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৮,৯৩,৫৯২।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০,৪৯৬ জন। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯৬৪ জনের। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭৮,৩৬৫ জন। দৈনিক সংক্রমণের থেকে এখন দেশে সুস্থতার সংখ্যা বেশি। ভারতে এখন সুস্থতার হার ৮৫.৫২ শতাংশ। আর মৃত্যুহার ১.৫৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১,৬৮,৭০৫ জনের কোভিড টেস্ট করা হয়েছে।
বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আমেরিকা ও ব্রাজিল। অন্যদিকে কোভিড সংক্রমণে মৃতের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের কোভিড পরিসংখ্যানে আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৯৩,৮৮৪। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩৯,৪৩০ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২,১২,০১৬ জন। মহারাষ্ট্রে এখন অ্যাকটিভ কেস ২,৪২,৪৩৮।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৩৪,৪২৭। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬০৮৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬,৭৮,৮২৮ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪৯,৫১৩।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৬৮,৬৫২ জন। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯৫৭৪ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫,৪৩,৯০৬ জন। কর্নাটকে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১,১৬,১৭২।