দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দুপুর থেকে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। সন্ধ্যায় তা সত্যি হল।আইপিএলের মূল স্পনসর ভিভো সরে দাঁড়াল। তার ফলে প্রবল চাপের মুখে বিসিসিআই। জানা গিয়েছে নতুন স্পনসর কে হবে তা ঠিক করতে তিন দিনের মধ্যে টেন্ডার ডাকবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড।
দু’দিন আগেই গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকের পর আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে টুর্নামেন্ট করায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সঙ্গে এও জানানো হয়েছিল এবারও আইপিএলের টাইটেল স্পনসর থাকছে চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিভো। সেই বৈঠকের পর তেরাত্তির কাটতে না কাটতেই বিসিআইয়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। আইপিএলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নিজেই সরে দাঁড়াল ভিভো।
ভিভো বোর্ডকে জানিয়েছিল, কোভিড পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী যে আর্থনৈতিক অধোগতি তাতে তাদের ব্যবসাও ভাল জায়গায় নেই। তাই যা চুক্তি তার থেকে ১৩০ কোটি টাকা কম দেবে তারা। রাজি হয়নি বিসিসিআই। শেষমেশ নিজেরাই সরে দাঁড়াল চিনা মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।
লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাতের পর থেকে দেশে চিনা পণ্য বয়কটের আওয়াজ তীব্র হয়। সেই সময়েই প্রশ্ন ওঠে কী হবে আইপিএলের স্পনসরশিপ? তাই রবিবারের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল স্পনসর। গভর্নিং কাউন্সিলের এক আধিকারিক বৈঠকের পরে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমি এটুকুই বলতে পারি আমাদের সব স্পনসর আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আশা করছি আমার কথার মানে বোঝা যাচ্ছে।”
ওই আধিকারিকের কথা থেকেই সেদিন পরিষ্কার হয়ে যায় টাইটেল স্পনসর হিসেবে থাকছে ভিভো। আসলে এত কম সময়ের মধ্যে নতুন টাইটেল স্পনসর জোগাড় করা ছিল অসম্ভব। তার মধ্যে ২০২২ সাল পর্যন্ত বোর্ডের সঙ্গে প্রতি বছর ৪৪০ কোটি টাকার চুক্তি ছিল ভিভোর। তাই এবছর প্রবল চিন বিরোধিতার মধ্যেও আইপিএলের স্পনসর বদল করা হয়নি। বিসিসিআইয়ের তরফে আগেই বলা হয়েছিল সামনের বছর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। কিন্তু বোর্ডকে চাপে ফেলে দিয়ে চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল বেজিংয়ের মোবাইল জায়ান্ট।
জানা যাচ্ছে, বিসিসিআই কর্তারা এখন বিকল্প স্পনসর খুঁজতে মরিয়া। দেশ-বিদেশের একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন ব্রিজেশ পটেলরা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও আশার বিসিসিআই দেখতে পায়নি।
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৫৩ দিন ধরে হবে এই টুর্নামেন্ট। আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম রবিবার বাদ দিয়ে অন্য কোনও বারে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ হবে।