মহাষ্ঠমীর সকাল থেকেই সর্বত্র পুজো প্রাঙ্গনে মানুষের ঢল। অঞ্জলি দিতে উন্মুখ শিশু থেকে বৃদ্ধ ,মা-বোনেরা। এবার সন্ধি পুজোও ভরদুপুরে। সেই সঙ্গে বেলুড় মঠ এবং বিভিন্ন রামকৃষ্ণ আশ্রমে হচ্ছে কুমারী পুজো। ১৮৯৮ সালে কাশ্মীর ভ্রমণকালে স্বামী বিবেকানন্দ এক মুসলমান মাঝির কুমারী কন্যাকে প্রথম মাতৃরূপে পুজো করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯০১ সালে নয়জন কুমারীকে মায়ের নয় রূপ জ্ঞানে পুজো করেছিলেন। সেই ধারা আজও বহমান। সীমান্ত শহর বনগাঁর আয়রন গেট, মতিগঞ্জ ১৫ পল্লী যুব গোষ্ঠী, ৩নং টালিখোলা পুজো মন্ডপে এদিন সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের বিপুল ভিড়। মানুষকে সহযোগিতা করতে পথে নেমেছেন স্বয়ং এসডিপিও অনিল কুমার রায় সহ গোটা পুলিশ প্রশাসন। ট্যুরিষ্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে অষ্টমীর সকালে চলে এসেছেন বহু দর্শনার্থী। তাঁরা সকালে বনগাঁর ঠাকুর দেখার পাট চুকিয়ে, ছুটবেন কলকাতা শহরে। রাজনৈতিক নেতারা জন সংযোগ বজায় রাখতে মণ্ডপে মন্ডপে ঘুরছেন ৷ এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতারাই বেশি সক্রিয়। বিজে পিও সাধ্যমত জনতার মাঝে উপস্থিত থাকা এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। বনগাঁ দক্ষিণ ছয়ঘরিয়ার গ্রামবাসী বৃন্দের এবারের প্রথম পুজো,ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজীৎ ঘোষ বলেন,রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাড়ির ঐতিহ্যপূর্ণ পুজোর পাশাপাশি এবারের প্রথম বর্ষের দক্ষিণ ছয়ঘরিয়া গ্রামবাসী বৃন্দের পুজোটিও গুরুত্বপূর্ণ৷ দীর্ঘদিন পর এখানে পুজোর স্বাদ পেলেন এলাকার মানুষ৷ দীর্ঘসময় ধরে সিপিএম এই মানুষ গুলোকে শারদৎসব থেকে বঞ্চিত রেখেছিল,এবারের পঞ্চায়েত ভোটে সব ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে বেরিয়ে এসে পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন এলাকার মানুষ৷ তাদের আনন্দে সামিল হতে পেরে আমারও খুব ভাললাগছে৷স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল সরকার ও তরুন রুদ্রদের কথায়,প্রথম বর্ষের পুজো যেন ১০০ বছর পুর্তি উৎসবের মত মনে হচ্ছে। মতিগঞ্জ দে’বাড়ির এক গৃহ বধু সোমা দে জানান, সকাল থেকে অঞ্জলীর ফুল আর প্রসাদের লুচির জোগাড় করতেই অষ্টমীর সকাল কেটে গেল৷ ছয়ঘরিয়া রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির ঠাকুর দালানে ছিল অজলী দেওয়ার ভিড়৷ ছোট,বড় ক্লাবের পুজো মন্ডপ থেকে বনেদীবাড়ির পুজোর ঠাকুর দালান মহাঅষ্টমীর মহা আনন্দে মাতোয়ারা উৎসব মুখর বাঙালি। -দেশের সময়/