দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লভলিনা বেরগোহাইন, নামটা আজকের আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষের মানুষের কাছে খুব একটা পরিচিত ছিল না। মীরাবাই চানুর পরে ফের সাফল্যের মুখ দেখতে চলেছে ভারত। অলিম্পিক বক্সিংয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেছেন ভারতীয় বক্সার অসমের লাভলিনা বরগোঁহাই। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির নাদিন অ্যাপেজের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জিতেছেন লাভলিনা। ৩-২ ব্যবধানে জার্মান প্রতিপক্ষকে হারিয়ে লাভলিনা পৌঁছে গেছেন শেষ আটে।

মঙ্গলবার জার্মানির অভিজ্ঞ মহিলা বক্সার নাদাইন এপেটজের বিরুদ্ধে তাঁর ৩:২ জয় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী তার নাম ছড়িয়ে দেবে। বুদ্ধি করে দুরন্ত ম্যাচ খেললেন তিনি। পৌঁছে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। জ্যাব, কাট, হুক সবেতেই প্রায় নিখুঁত ছিলেন তিনি। ২৪ বছর বয়সী লভলিনা বোরগোহেইন একজন মহম্মদ আলির ভক্ত এবং তিনি কীভাবে কিংবদন্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন সে সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে।

লভলিনা (৬৯ কেজি) বিভাগে একটি বাই পেয়েছিলেন। প্রথম লড়াই জার্মানির নাদাইন এপেটজের বিরুদ্ধে নিজের রাজ্য অসম এবং দেশ ভারতের প্রত্যাশা বাড়িয়ে রিং -য়ে নেমেছিলেন তিনি। অসমের প্রত্যন্ত অঞ্চল গোলাঘাট থেকে এই মেয়ের উঠে আসার গল্পটা দারুন রোমাঞ্চকর। লাভলিনার আরও দুই বোন রয়েছে।। তারা কিকবক্সিং শিখেছেন ছোটবেলা থেকে। লাভলিনা নিজেও প্রথমে কিক বক্সার ছিলেন। পরে সাইয়ের এক কোচের হাতে পড়ে পুরোপুরি বক্সার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

পাঁচ ফুট আট ইঞ্চির উচ্চতার মেয়েটি টোকিওতে ভাল করবেন এই আশায় গোটা অসম রাজ্য জুড়ে দেওয়াল লিখন চলেছিল। অসম থেকে অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করা তিনিই ছিলেন প্রথম বক্সার। আত্মবিশ্বাস এবং লড়াকু মনোভাবের অভাব ছিল না। কিন্তু অলিম্পিকের মত বিশ্বের সেরা প্রতিযোগিতায় জিততে হলে শুধু আত্মবিশ্বাস এবং লড়াকু মনোভাব যথেষ্ট নয়।

টেকনিক, অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এই তিনটি বিভাগেই লাভলিনার থেকে এগিয়েছিলেন জার্মানির মহিলা বক্সার। কিন্তু যেভাবে অভিজ্ঞ বক্সারকে হারালেন ভারতের মেয়ে, জাতি গর্বিত হতে পারেন দেশবাসী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here