দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অবলা পশুদের উপর ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টির নিদারুণ অত্যাচারের নিদর্শন দেখা গেল কেরলে। খাবারের খোঁজে গ্রামে ঢুকে পড়া একটি গর্ভবতী হস্তিনীকে আতসবাজি বাঁধা আনারস ছুড়ে দেয় গ্রামবাসীরা। অগাধ বিশ্বাসে সেটা গিলে ফেলতেই মুখের মধ্যে আতসবাজি ফেটে শুঁড় এবং মুখের ভিতরে গুরুতর ক্ষত হয় হস্তিনীটির। অব্যক্ত যন্ত্রণায় গ্রামময় ছোটাছুটি করলেও কাউকে আঘাত করেনি বা কোনও কিছু ভাঙচুর করেনি হস্তিনীটি। অবশেষে যন্ত্রণা উপশমের চেষ্টায় নদীর ভিতর শুঁড় ডুবিয়ে দাঁড়ায় অসহায় প্রাণীটি। আর সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছিল কেরলের মালাপ্পুরম জেলার অন্তর্গত একটি গ্রামে গত ২৭ মে। হস্তিনীটিকে উদ্ধারের চেষ্টায় নামা র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্য এক বনকর্মী মোহন কৃষ্ণন পুরো ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে তা প্রকাশ্যে এসেছে। মোহন তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ওই হস্তিনীটি আর কয়েক মাসের মধ্যেই শাবক প্রসব করত।
খবর পেয়ে তাঁরা দুটি কুনকি হাতি নিয়ে যখন হস্তিনীটিকে উদ্ধারের জন্য যান তখন প্রাণীটি ভেল্লিয়ার নদীর জলে শুঁড় আর মুখ ডুবিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সম্ভবত নদীর জলের ব্যথার কিছুটা উপশম খুঁজছিল মরণাপন্ন হস্তিনীটি। তাঁরা অনেক চেষ্টা করলেও প্রাণীটি সম্ভব বুঝতে পেরেছিল যে সেআর বাঁচবে না। সেকারণে আর উঠে আসার চেষ্টা করেনি।
অবশেষে ২৭ মে বিকেল চারটের সময় নদীর জলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে হস্তিনীটি। লিখেছেন মোহন। পরে হস্তিনীটিকে সম্মান জানাতে তাঁরা প্রাণীটির মৃতদেহ নদী থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বনের ভিতর সমাধিস্থ করেন বলে জানিয়েছেন মোহন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পশুপ্রেমীরা৷